আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে গুমের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
গুমের ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় শেখ হাসিনা ছাড়াও রয়েছেন সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।
প্রসিকিউশনের অভিযোগে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে বহু ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। এই ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
বিচারপতিরা তাদের আদেশে বলেন, প্রসিকিউশনের উপস্থাপিত তথ্য এবং প্রমাণগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গুমের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহজনক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
এই আদেশের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি আদেশ রাজনৈতিকভাবে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
গুমের শিকার হওয়া পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন করে আসছেন। তারা এ আদেশকে ন্যায়বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
তবে আওয়ামী লীগ নেতারা এই অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তাদের মতে, এটি দলের নেতৃত্বকে কালিমালিপ্ত করার একটি ষড়যন্ত্র।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই গ্রেফতারি পরোয়ানা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বাড়াতে পারে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরবর্তী শুনানির তারিখে গ্রেফতারি আদেশ কার্যকর হওয়ার অগ্রগতি জানাতে প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।