ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে স্বজনের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করেছে দেশটির পুলিশ।
জানা যায়, নব্বই দশকের আতঙ্ক ‘সেভেন স্টার’ গ্রুপের অন্যতম সদস্য তানভীর ইসলাম জয় দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিতে হতো। গত ১২ এপ্রিল সকালে তার গৃহকর্মী অ্যাপার্টমেন্টে এসে কলিং বেল বাজানোর পরও সাড়া না পেয়ে ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের জানান। তারাও ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে থানাকে অবহিত করেন।
পরে পুলিশ দরজা ভেঙে জয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার ইউকেএম হাসপাতালে পাঠায়। ওই হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক ফারিদা মুহা নূর ময়নাতদন্ত করেন।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, জয়ের বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কুয়ালালামপুরে এসে সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসে ভাইয়ের মরদেহ গ্রহণ করতে লিখিত আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দূতাবাস অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেয়। সেটা হাসপাতালে জমা দিয়ে তিনি মরদেহ গ্রহণ করেন এরপর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দাফন করেন।
নব্বইয়ের দশকের ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ লিয়াকত-হান্নানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে আলোচিত হন তানভীর ইসলাম জয়। কলাবাগানের ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান জয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন।
সে সময় তাদের গ্রুপটি পুলিশের কাছে সেভেন স্টার নামে পরিচিতি পায়। জয়ের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাকাণ্ড, দুটি হত্যাচেষ্টা, মারাত্মক জখম ও চাঁদার জন্য শারীরিক ক্ষতির হুমকি দেওয়ার অনেকগুলো অভিযোগ ছিল।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে ২০০০ সালে গ্রেপ্তার হন জয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি ভারতে চলে যান। সেখান থেকে তারেক রানা নামে পাসপোর্ট করে ২০০১ সালে মালয়েশিয়া চলে যান। পরবর্তীতে আবার ভারতে ফিরে আসেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।