কর্মীর বিয়েতে অংশ নিতে গোপালগঞ্জের কাজুলিয়া গ্রামে এসেছেন সৌদি নাগরিক আবু বন্দর। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে হেলিকপ্টারযোগে তিনি ওই গ্রামের পল্লিমঙ্গল ইউনাইটেড একাডেমি অ্যান্ড কলেজ মাঠে অবতরণ করেন। তার সঙ্গে ছিলেন বরের চাচা প্রবাসী লালন শেখ।
এর আগে সকাল ৭টায় সৌদি এয়ারলাইনসের একটি বিমানে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তারা। পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে গোপালগঞ্জের কাজুলিয় গ্রামে পৌঁছান। এ সময় স্থানীয়রা তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর ধরে লালন শেখ সৌদি আরবের রিয়াদের নাদিম এলাকায় আবু বন্দরের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ৭-৮ বছর আগে ভাতিজা রাশেদুল শেখকেও সেখানে নিয়ে যান। তিনিও ওই মালিকের অধীনে কাজ করেন। পরে রাশেদুল শেখের বিয়ে ঠিক হলে আবু বন্দর বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা জানান। বুধবার তাকে নিয়ে লালন শেখ বাড়িতে পৌঁছান।
এদিকে প্রবাসী লালন শেখের সঙ্গে তার সৌদি মালিক (কফিল) আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে মানুষ ভিড় করেন। পরে গ্রামবাসীর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন সৌদি নাগরিক আবু বন্দর।
সৌদি প্রবাসী লালন শেখ বলেন, আমার কফিল (মালিক) ভাতিজার বিয়ের দাওয়াতে এখানে এসেছেন। আমার ভাতিজাও আমার কফিলের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। তিনি আমাদের বাড়িতে দুই সপ্তাহের মতো থাকবেন। পরে আমি আর কফিল একসঙ্গে সৌদি ফিরে যাব।
বাংলাদেশে আসার বিষয়ে অনুভূতি জানাতে গিয়ে সৌদি নাগরিক আবু বন্দর বলেন, বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি। এখানে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। এখানকার মানুষের ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এখানে আগামী দুই সপ্তাহ থাকব।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।