কুয়াকাটা সৈকতে হাজারো পর্যটকদের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার ২১শে জানুয়ারী ২০২২ ০৭:১৩ অপরাহ্ন
কুয়াকাটা সৈকতে হাজারো পর্যটকদের ঢল

বসন্তের আগমনে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভীড় বাড়ছে নানা বয়সের পর্যটকদের। কনকনে শীত উপেক্ষা করে সমুদ্র সৈকতে হাজারো পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই সমুদ্র সৈকতে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও পরিবহন যোগে আগমন ঘটে এসব পর্যটকের। আগত পর্যটকরা সমুদ্রে সাঁতার কাটাসহ প্রিয়জনদের সাথে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। 



সূর্যাদয় সূর্যাস্ত দেখার পাশাপাশি লাল কাকড়ার চর, সুন্দরবনের পুর্বাংশ ফাতরারবন,গঙ্গামতির লেক, আন্ধারমানিক নদীর মোহনা সর্বত্রই দেখা গেছে পর্যটকদের আনাগোনা। করোনা মহামারির প্রার্দুভাবে প্রভাব পরেনি সমুদ্র সৈকতে। আবাসিক হোটেল মোটেল, রিসোর্ট সহ পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা আতংকে ছিল পর্যটক শুণ্যতার। তাদের এ আশংকাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাজার হাজার পর্যটকদের আগমন ঘটে সাগরকণ্যা কুয়াকাটায়। আবাসিক হোটেল মোটেল গুলোর বেশিরভাগই বুকিং রয়েছে। রুম সংকটে পরতে হয়নি কোন পর্যটককে। খাবার হোটেল, ঝিনুক মার্কেটসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটগুলোতে অসংখ্য পর্যটকদের আনাগোনা দেখা গেছে।


তবে আগত পর্যটকদের কাউকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। বেশিরভাগ পর্যটকরাই মাস্ক ব্যবহার করছে না। মানছেনা সামাজিক দূরত্ব। তবে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট অমিক্রনের সংক্রমন ঠেকাতে সৈকতে ট্যুরিষ্ট পুলিশের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে মাইকিং করা হলেও তা আমলে নিচ্ছেন না পর্যটকরা।


কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আগত বেশিরভাগ পর্যটকরা নানা অজুহাতে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। আবার কোন কোন পর্যটক বলছেন সমুদ্র সৈকতে এসে উম্মুক্ত বাতাসে প্রানভরে নিস্বাস নিতে পারছি। মাস্ক পরে সৈকতে ঘুরলে নির্মল বাতাস থেকে বঞ্চিত হবো। এজন্য মাস্ক পরছি না। অন্যদিকে কোন কোন পর্যটক বলছেন সমুদ্রের এই নির্মল বাতাসে করোনা কোন প্রকার প্রভাব ফেলতে পারে না।


আবাসিক হোটেল সৈকতের মালিক মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুইদিনই তার হোটেলের সব গুলো কক্ষই বুকিং হয়ে গেছে। তিনি বলেন, তাদের আশংকা ছিলো করোনা মহামারির বিধি নিষেধের মধ্যে পর্যটক খুবই কম আসবে। কিন্ত ধারণাকে ভূল প্রমানিত করে কনকনে শীতের মধ্যেও প্রচুর সংখ্যক পর্যটক এসেছে। তবে আগত পর্যটকদের বেশিরভাই স্বাস্থ্যবিধির বিষয় সচেতন না। 


পর্যটন হলিডে হোমসের ব্যবস্থাপক সাকের হোসেন বলেন, করোনা মহামারিতে সরকারী নির্দেশনা মেনে   গত ১৩ জানুয়ারী থেকে পর্যটক রাখছেন তারা। করোনা সনদ ছাড়া কোন পর্যটককেই তারা রুম বুকিং দিচ্ছেন তারা।


কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জানান, করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সমুদ্রে সৈকতে প্রবেশের জন্য প্রতিনিয়ত মাইকিং করে পর্যটকদের সচেতন করা হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া সৈকতে নামতে নিষেধ করলেও বেশিরভাগ পর্যটকই স্বাস্থ্য সচেতন নয়। তবে তারা সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।