প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ১১:১৫
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, চতুর্থ দিনের শুরুতেই সেটি বাস্তবে রূপ নিলো। মাত্র ৩৪ বল টিকেই বাংলাদেশ শেষ করল তাদের ইনিংস। ব্যাটিং ব্যর্থতার করুণ চিত্রই যেন ফুটে উঠল গোটা টেস্ট জুড়ে। শেষ পর্যন্ত ইনিংস ও ৭৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয় বরণ করতে হলো বাংলাদেশকে।
টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটাররা বড় জুটি গড়তে না পারায় প্রতিপক্ষের চাপে পড়ে যায় দলটি। প্রথম ইনিংসে তারা পিছিয়ে ছিল ২১১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভালো না হলেও শেষ দিকে কিছুটা প্রতিরোধের আশা ছিল। তবে সেটা যেন ছিল মরীচিকা।
তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১১৫ রান। হাতে ছিল মাত্র ৪ উইকেট এবং প্রতিপক্ষের চেয়ে ৯৬ রান পিছিয়ে ছিল। একমাত্র ভরসা ছিলেন লিটন দাস, যিনি ছিলেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটার। অনেকেই আশায় বুক বেঁধেছিল তার ব্যাটিংয়ের উপর, কিন্তু সেখানেও আশাভঙ্গ।
প্রবাথ জয়াসুরিয়ার ঘূর্ণিতে পড়ে যান লিটন। চতুর্থ দিনের শুরুতে মাত্র চার বল খেলে লিটন দাস আউট হয়ে গেলে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। তিনি করেন মাত্র ১৪ রান। এরপর দ্রুতই শেষ তিন ব্যাটারও ফিরে যান সাজঘরে, যেন হার নিশ্চিত করতেই মাঠে নেমেছিল তারা।
শ্রীলঙ্কার ঘূর্ণি আক্রমণের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বিশেষ করে জয়াসুরিয়া এবং মাধুশঙ্কার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পথ খুঁজে পায়নি কেউ। এই ব্যর্থতা শুধুই ব্যাটিং নয়, মানসিকভাবে দলটির প্রস্তুতির ঘাটতি চোখে পড়ার মতো ছিল।
এই টেস্টে ব্যর্থতার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা, অনভিজ্ঞ মিডল অর্ডার এবং উইকেটের সাথে মানিয়ে নিতে না পারা। আগের টেস্টে গলে ভালো খেললেও কলম্বোর উইকেট যেন বাংলাদেশের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিলো।
দর্শকদের মধ্যেও হতাশা বিরাজ করছে। অনেকেই মনে করছেন, শুধু স্কিল নয়, মানসিক দৃঢ়তা ও পেশাদারিত্বের ঘাটতি রয়েছে দলে। ব্যাটিংয়ে দৃঢ়তা না ফিরলে ভবিষ্যতে এমন পরাজয় বারবার ফিরে আসবে। এই হার যেন সতর্কবার্তা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য।