বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম গঠন করা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রধান লক্ষ্য। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সংগঠনটি সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তিনি এসব কথা বলেন রোববার (২ মার্চ) দিবাগত রাতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পবিত্র মক্কা মুকাররমা শাখার আয়োজনে আল হিব্বা হোটেল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাহরি মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে।
মাওলানা মামুনুল হক আরো বলেন, "নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে ৪৭, ৭১ এবং ২৪ এর চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। এই চেতনাই আগামী বাংলাদেশের রাজনৈতিক নতুন বন্দোবস্ত।" তিনি বলেন, স্বৈরাচারের পতনের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে, এবং এখন বাংলাদেশের ভবিষ্যত পুনর্গঠনের সুযোগ এসেছে।
তিনি আরও নব-গঠিত একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, দেশের ছাত্র জনতার ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাদেরকে এগিয়ে নিতে হবে, কিন্তু প্রবীণ রাজনীতিবিদদেরকেও তাদের তত্ত্বাবধান করতে হবে। তবে তরুণদেরকে স্মরণ করিয়ে দেন, কোনোভাবেই রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না। তিনি বলেন, "দলগত বিভেদ মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে কখনোই পতিত স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের পথ তৈরি করা যাবে না।"
এই সাহরি মাহফিলের সভাপতিত্ব করেন মাওলানা হাবিবুল্লাহ হারুন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা বোরহান উদ্দিন কাসেমী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম, মাওলানা ওলি উল্লাহ শাওকী, জামায়াতে ইসলামী মক্কা মহানগর সভাপতি আহমেদ আব্দুল বাকি, মক্কা মহানগর বিএনপি সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, এবং অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এ সভা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।