দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় পীর রহিম শাহ ভান্ডারীর মাজারে স্থানীয় জনতা ও সীরাতে মুস্তাকিম পরিষদ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে উপজেলার রাণীগঞ্জ বাজার থেকে ওরসের নামে অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে একটি লাঠি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পরে মাজারে হামলা চালিয়ে প্যান্ডেল ও মাজারে আগুন দিয়ে ভাংচুর করে।
বিক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ, উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের বিরাহীমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় রহিম শাহ বাবা ভান্ডারীর মাজারে প্রতি বছর ওরসের নামে গান-বাজনা, মাদক সেবনসহ অশ্লীল কর্মকান্ড হয়ে থাকে। তারা বারবার এ ধরণের কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানালেও তাদের দাবি উপেক্ষিত হয়। এই অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ হিসেবে তারা মিছিল বের করার সিদ্ধান্ত নেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবাদমুখর এই মিছিলটি রাণীগঞ্জ বাজার থেকে শুরু হয়ে মাজারের দিকে অগ্রসর হয়। মিছিলটি যখন মাজারে পৌঁছায়, তখন বিক্ষুব্ধ জনতা প্যান্ডেল ও মাজারের কিছু অংশে অগ্নিসংযোগ করে এবং ব্যাপক ভাংচুর চালায়। তারা দাবি করেছেন, অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবেন।
ওরসের সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং মাজার কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা হয়েছে। তারা দাবি করছেন, ওরসের অনুষ্ঠানকে ঘিরে অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ নেননি, যার কারণে এ ধরনের সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজমুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি, কারণ তিনি ফোন রিসিভ করেননি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে, তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। তবে বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, যতদিন পর্যন্ত মাজারে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ না হবে, ততদিন তাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।