সাড়ে ১০ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
মইনুল হক মৃধা-রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার ২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:০১ পূর্বাহ্ন
সাড়ে ১০ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক

ঘন কুয়াশার কারণে সাড়ে ১০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল ৯টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব কমে এলে ফেরিগুলো পুনরায় চলাচল শুরু করে। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। ফলে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের তীব্র শীতের মধ্যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।  


বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন জানান, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কুয়াশা কেটে গেলে রবিবার সকাল ৯টা থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।  


দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি চালু আছে এবং যানবাহনের চাপ কমাতে দ্রুত পারাপারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, দুপুরের মধ্যে সব যানবাহন নদী পার হতে পারবে।  


কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় শত শত যানবাহন নদীর দুই পারে আটকা পড়ে। এতে পণ্যবাহী ট্রাক, দূরপাল্লার বাস ও ছোট যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। প্রচণ্ড শীতের মধ্যে অনেককে রাস্তার পাশে গাড়িতে রাত কাটাতে হয়েছে।  


দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ। এই পথে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন পারাপার হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলে ঢাকা ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সংযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, ফলে ভোগান্তি বাড়ে।  


এদিকে, ফেরি চলাচল শুরু হলেও যানবাহনের দীর্ঘ সারির কারণে চালক ও যাত্রীদের অপেক্ষার দুর্ভোগ কমছে না। ট্রাকচালকরা জানান, রাত থেকে আটকে থাকায় তারা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। কিছু বাস যাত্রী নিয়ে ঘাট ত্যাগ করলেও ট্রাক ও মালবাহী যান পারাপারে আরও সময় লাগবে।  


নৌরুটের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তারা জানান, কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতেই ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চালু করা হয়েছে এবং দ্রুত যানবাহন পারাপারের চেষ্টা চলছে।  


সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা জানান, শীত মৌসুমে প্রায়ই এই রুটে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হয়। তারা ফেরি চলাচল আরও কার্যকর করার দাবি জানান, যাতে ঘন কুয়াশার সময়ও যানবাহন পারাপারে দীর্ঘ ভোগান্তিতে পড়তে না হয়।