ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য এবং সহকারী শিক্ষক পদে ৮০টি শূন্য রয়েছে। এসব পদ শূন্য থাকার কারণে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সরাইল উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ১২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই এবং ৮০টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি, অবসর এবং মৃত্যুজনিত কারণে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
এ অবস্থায়, শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে এবং দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি পাঠদানেও অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। এতে শিক্ষকদের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে, যার ফলে পাঠদান কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও দাপ্তরিক কাজের মান কমছে এবং শিক্ষার্থীরা এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, "প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকলে দুইজন মিলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান এবং দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে এবং এই শূন্যতা কাটাতে নতুন শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন।"
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নৌসাদ মাহমুদ বলেন, "অচিরেই প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি ও সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা ইতিমধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির প্রস্তাব পাঠিয়েছি এবং শূন্য পদে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে এই সমস্যা সমাধান হবে।"
সরাইল উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট দূর করতে দ্রুত পদোন্নতি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপের অপেক্ষা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।