আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ইরি ধানের বীজ বিক্রির ধুম পড়েছে। কৃষকরা সাচ্ছন্দ্যে তাদের পছন্দের বীজ কিনতে বিভিন্ন বীজ ডিলারের দোকানে ভিড় করছেন। বিশেষ করে, সরকারি ও প্রাইভেট বিভিন্ন কোম্পানির বীজ বাজারে আসায় একদিকে দাম কমছে, অন্যদিকে বিক্রেতারা প্রতিযোগিতা মূলক ব্যবসা করে অল্প লাভে বীজ বিক্রি করছেন। ১৭ নভেম্বর রবিবার, আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজারে দৃশ্যমান দৃশ্য ছিল কৃষকদের মধ্যে তীব্র দাম দর নিয়ে বীজ কেনার প্রতিযোগিতা।
এবার বাজারে সরকারি বীজ ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ এর পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে নানা প্রাইভেট কোম্পানির বাহারি প্যাকেটের বীজ। এর মধ্যে হীরা, হীরা-২, হীরা ১৯, হীরা ৬, ছক্কা, ব্রাক-১৭, ব্র্যাক-৭৭৭, আলোড়ন, শক্তি, আপতাফ-৭০, ১০৮, ১০৬ সহ নানা ধরনের হাইব্রিড জাতের বীজ রয়েছে। এসব বীজের দামও ভিন্ন, সরকারি বীজের ১০ কেজি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা দরে, আর প্রাইভেট কোম্পানির ২ কেজি বীজ ১৬০ থেকে ২৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, গত বছর হাইব্রিড ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এবারও তারা বেশি হাইব্রিড বীজ কেনার জন্য আগ্রহী। আশাশুনির বীজ বিক্রেতা অলোক কুমার দেবনাথ জানান, "এবার বীজ ধানের বাজার সয়লাব হয়ে গেছে, তাই আমরা প্রতিযোগিতামূলকভাবে অল্প লাভে বীজ বিক্রি করছি।"
আশাশুনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম এনামুল ইসলাম বলেন, "বীজের বাজারে বাড়তি সরবরাহের ফলে কৃষকরা কিছুটা কম দামে বীজ কিনতে পারছেন, আমরা সেটি স্বাগত জানাই। তবে কেউ যদি উচ্চমূল্যে বীজ বিক্রি করে, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কৃষকদের স্বার্থে আমরা নিয়মিতভাবে ডিলারদের তদারকি করছি।"
এদিকে, গত বছর বোরো ফসলের ভালো ফলন দেখে কৃষকরা এবার জমি আবাদে আরো বেশি উৎসাহী হয়েছেন। বর্তমানে বীজতলা তৈরির কাজ দ্রুত চলছে এবং জমি পরিষ্কার করতেও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। তাদের প্রত্যাশা, এই বছরও ভালো ফসল পাবেন এবং আগের চেয়ে বেশি উৎপাদন অর্জন করবেন।
এছাড়া, সরকারি বীজ বিক্রির পাশাপাশি কৃষকদের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে তারা নির্ভেজাল বীজ পেয়ে সঠিকভাবে আবাদ করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।