দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুল্কমুক্ত চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও খুচরা বাজারে চালের দাম কমছে না। গত দুই সপ্তাহ ধরে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) হিলি বাজারের খুচরা বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দেশি চালের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। আটাশ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা, সম্পা কাটারী ৬৮ টাকা, স্বর্ণা জাতের চাল ৪৮ টাকা এবং জিরাশাইল জাতের চাল ৬৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি করা রত্না আতব চাল ৫৩ থেকে ৫৪ টাকা কেজিতে এবং সম্পা কাটারী ৭১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারতীয় বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বন্দরের পাইকারি বাজারেও দাম কিছুটা বেড়েছে। তাছাড়া চালের আমদানিতে খরচ বাড়ায় ব্যবসায়ীরা তেমন লাভ পেতে পারছেন না। হিলি বাজারে আসা সিএনজি চালক কোরবান আলী জানান, "গত দুই সপ্তাহ থেকে চালের দাম বাড়ে গেছে, এতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষদের চলতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।"
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, "ভারত থেকে প্রতি মেট্রিকটন চাল ৪১০ থেকে ৪৭০ মার্কিন ডলারে আমদানি হচ্ছে, কিন্তু ভারতেই চালের দাম বেড়ে গেছে। ফলে দাম কমানো কঠিন হয়ে পড়েছে।" তিনি আরও জানান, তবে আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই খুচরা বাজারে চালের দাম কমে আসবে।
হিলি কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার ভারতীয় ৩৭টি ট্রাকে ১ হাজার ২৬০ মেট্রিকটন চাল আমদানি হয়েছে এবং রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে।
এদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সারাদেশে ১০২ জন আমদানিকারককে ৫ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানি করার বরাদ্দ দিয়েছে। বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৬০ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এ অবস্থায়, ব্যবসায়ীদের আশা, শিগগিরই বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল হবে, যা সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা স্বস্তির হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।