আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের সাইডলাইনে, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। বৈঠকে উভয় নেতা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে ড. ইউনূসের উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, বৈঠকে জলবায়ু সংকট, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং উষ্ণায়নের প্রভাব মোকাবিলায় উভয় দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে, ১৩ নভেম্বর, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে ড. ইউনূস একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেন। এতে নেপাল, মালাউই, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া এবং বাংলাদেশের নেতারা উপস্থিত ছিলেন, যাদের দেশগুলো জলবায়ু সংকটে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
ড. ইউনূস বৈঠকে বিশ্বের জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় একটি নতুন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামো গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক মডেল ভোগবাদী এবং পরিবেশের ক্ষতি করছে, যা ভবিষ্যতের জন্য অনিরাপদ। "আমাদের শূন্য বর্জ্যের বিশ্ব গড়তে হবে," মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে, জাতিসংঘের 'সামিট ফর দ্য ফিউচার' উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে, ড. ইউনূস বলেন, "আমাদের একটি নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো দরকার, যা পৃথিবী ও মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।"
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "প্রতি বছর কপ সম্মেলন করা উচিত নয়। আমাদের একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে, যা বর্জ্য অপসারণের মতো প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগী হবে।" তিনি যুক্ত করেন, বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বের বেশিরভাগ চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে এবং জলবায়ু আলোচনার জন্য একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন।
এ বৈঠকটি, যে কোন প্রক্রিয়ায় জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় একটি কার্যকর এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধান আনার পথে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।