পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী একটি পরিবার। শনিবার (৯ নভেম্বর) কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় যে, রুহুল আমিন হাওলাদার ক্ষমতার দাপটে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে এবং মামলা হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাদের ২৭ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মো. ওসমান গনি শেখ জানান, সাবেক মন্ত্রী রুহুল আমিন হাওলাদার তার জমি বিক্রি করতে না চাইলে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করেন। প্রথমে এক ভূয়া চুক্তিপত্র তৈরি করে, পরে জমি দখলের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিতে গেলে তিনি বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে পরিবারের সদস্যদের জেল খাটিয়েছেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে তাদের পরিবারকে দীর্ঘ সময় ধরে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে।
মো. ওসমান গনি শেখ জানান, তারা ৩৪নং লতাচাপলী মৌজার ২৭ শতাংশ জমির মালিক হলেও সাবেক মন্ত্রী রুহুল আমিন হাওলাদারের কু-নজর পরে। জমি বিক্রি করার প্রস্তাব না পেয়ে তিনি এই জমি দখলের চেষ্টা চালান। তারা বারবার চেষ্টা করলেও জমি উদ্ধার করতে পারেননি। বরং ক্ষমতার দাপটে বিভিন্ন মামলা দিয়ে তাদের পরিবারকে হয়রানী করা হয়েছে।
আরেক ভুক্তভোগী, মো. সোবাহান শেখ বলেন, "কুয়াকাটায় রুহুল আমিন হাওলাদার একাধিক জমি দখল করেছেন। তার অত্যাচারে এলাকার অনেক মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে।" তিনি সরকারের কাছে তার জমি উদ্ধারে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অন্যদিকে, সাবেক মন্ত্রী রুহুল আমিন হাওলাদার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "ওসমান শেখ আমার কাছে জমি বিক্রি করার জন্য বায়না চুক্তি করেছিলেন এবং জমির টাকা নিলেও তার কাছে সঠিক কাগজপত্র না থাকায় আমি জমির দলিল নিতে পারিনি। তিনি জমির দাম নিয়ে নানা ছলচাতুরী করছেন এবং অন্য যেসব ওয়ারিশ জমি বিক্রি করেছে তারা সব মিথ্যা বলছে।"
রুহুল আমিন হাওলাদার আরো জানান, এ বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে এবং তিনি জমি সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।