শ্লীলতাহানি ও মারধরের অপমান সহ্য করতে না পেরে তরুণীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো. নাঈম হাসান ঈমন, জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: রবিবার ১৩ই অক্টোবর ২০২৪ ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
শ্লীলতাহানি ও মারধরের অপমান সহ্য করতে না পেরে তরুণীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা

ঝালকাঠির নলছিটিতে মানছুরা বেগম (২৩) নামে এক তরুণী শ্লীলতাহানি ও মারধরের কারণে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে পশ্চিম কামদেবপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় মানছুরাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসায় তাঁর প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।


প্রতিবেশীরা জানান, মানছুরার পরিবার ও প্রতিবেশী রফিক হাওলাদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার, মানছুরার ভাই নিহাদ বাড়ির পাশে একটি সুপারি গাছ থেকে কয়েকটি সুপারি পাড়ে। এই ঘটনার পর রফিকের স্ত্রী শাহিনুর বেগম নিহাদকে গালিগালাজ করেন। এর জের ধরে শুক্রবার বিকেলে রফিকের ছেলে শাহাবউদ্দিন, মেয়ে লিপি ও সনিয়া নিহাদকে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন।


মানছুরা যখন ভাইকে রক্ষার জন্য সেখানে উপস্থিত হন, তখন তাকে মারধর করা হয় এবং শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়। অপমান সহ্য করতে না পেরে মানছুরা বিষপান করেন।


এ বিষয়ে মানছুরার বাবা মজিবর আকন বলেন, “আমার ছেলে ও মেয়েকে মারধর করা হয়েছে এবং মেয়ের শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়েছে। লজ্জা থেকে আমার মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”


রফিক হাওলাদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়েছে, তবে মারধরের ঘটনা ঘটেনি।”


নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশ্রাব আলী জানিয়েছেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 


এ ঘটনার পর এলাকায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। স্থানীয় অধিকারকর্মীরা নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। তাঁরা দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সমাজের প্রতিটি স্তরের সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।”


মানছুরার ঘটনায় এলাকার নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমাজের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। জনসাধারণের মনে প্রশ্ন উঠেছে, কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে হয় এবং