ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই কলেজের ছাত্রী আইরিন আক্তার তিথিকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে শৈলকুপার দুধসর গ্রামের একটি কলাক্ষেত থেকে তিথির গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। সোমবার তার লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে ধর্ষণসহ নানা নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিথির পরিবার জানিয়েছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ০১৯০৮-৪৬২৬৬১ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে প্রতিবেশী কালুর বাড়িতে যায় তিথি। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় তার পিতা মিঠু শৈলকুপা থানায় একটি জিডি করেন।
তিথির মা রেখা বেগম অভিযোগ করেন, শৈলকুপার ফুলহরি ইউনিয়নের ভগবাননগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে রাকিব নিয়মিত তাদের ফোন করে হুমকি দিত। তিনি দাবি করেন, রাকিবের হুমকির কারণে কালুর মাধ্যমে তিথিকে ডেকে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার এসআই মনিরুজ্জামান হাজরা জানান, তিথির নিখোঁজ হওয়ার সময় এবং তার লাশের অবস্থায় অসঙ্গতি রয়েছে। তিনি বলেন, "ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর সবকিছু পরিষ্কার হবে।" পুলিশের সন্দেহভাজন তালিকায় কালুর নাম রয়েছে এবং তাকে গ্রেফতার করা গেলে হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পুলিশ পুরো ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আশা প্রকাশ করেন যে, দুই-এক দিনের মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। এলাকাবাসী গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত বিচার দাবি করেছে।
এদিকে, তিথির পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রশাসন দাবি করেছে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।