মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একদল কর্মকর্তা-কর্মচারী পেট্রোবাংলার প্রধান কার্যালয় পেট্রো সেন্টারে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালিয়েছে। নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগের প্রতিবাদে তারা এই বিক্ষোভ আয়োজন করে।
বিক্ষুব্ধরা সকাল ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারে অবস্থিত পেট্রোবাংলার অফিসের নিচতলায় রিসেপশনের গ্লাস ভাঙচুর করে। ঘণ্টাখানেক পর তারা তিতাস গ্যাসের অফিসে চলে যান।
তিতাস গ্যাসের পূর্ববর্তী ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহ’র চুক্তির মেয়াদ গত ২১ আগস্ট শেষ হয়ে যায়। এরপর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ৯ সেপ্টেম্বর তার চুক্তি বাতিল করে। মন্ত্রণালয় গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজকে তিতাস গ্যাসের এমডির দায়িত্ব দিয়েছে। শাহনেওয়াজ পারভেজ পেট্রোবাংলার জিএম পদে কর্মরত ছিলেন।
বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাবি করছেন, তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেই নতুন এমডি নিয়োগ করা হোক। এ দাবিতে তারা মঙ্গলবার সকালে পেট্রোবাংলা কার্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে হামলা চালান বলে অভিযোগ করা হয়।
পেট্রোবাংলার কর্মচারী আকের আলী জানান, অতর্কিতে হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা যাকে পেয়েছে তাকে মারধর শুরু করে। হামলার সময় তিনি লাঠিসোঁটা দিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হন। আকের আলী জানান, হামলাকারীরা তিতাসের কার্ডধারী হতে পারে, তবে তিনি অন্য কোনো লোকজনকে চিনতে পারেননি।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার গণমাধ্যমকে জানান, তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে এমডি নিয়োগ দেওয়ার দাবি সঠিক নয়। পেট্রোবাংলার সিনিয়রিটি তালিকায় তিতাস গ্যাসের শীর্ষ ৫০-৬০ জনের মধ্যেও কেউ নেই এবং অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের নীতি হচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।