হিলিতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, নিজস্ব প্রতিনিধি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: রবিবার ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:১৭ অপরাহ্ন
হিলিতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলিতে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামি শ্রমনীতির গুরুত্ব তুলে ধরার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে দ্বায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় হাকিমপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব কার্যালয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।


সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোঃ গোলাম রব্বানী। তার বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, "ইসলামি শ্রমনীতি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অপরিহার্য। বর্তমান সময়ে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার সুরক্ষায় এই নীতির অনুসরণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।"


উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ সবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোঃ আমিনুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, "শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে ইসলামি শ্রমনীতির প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। এই নীতি অনুসরণ করলে শ্রমজীবী মানুষেরা ন্যায্য অধিকার পাবেন এবং তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে।"


সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা আরও বলেন, "বর্তমান সময়ে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হলে আমাদের ইসলামি শ্রমনীতির অনুসরণ করতে হবে। শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড, তাদের অধিকার রক্ষায় আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।"


এসময় সমাবেশে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এবং ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সকলে একমত পোষণ করেন যে, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শুধু আইন প্রণয়ন নয়, তাদের প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করতে হলে ইসলামি শ্রমনীতির ভিত্তিতে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। সমাবেশ শেষে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।


এই সমাবেশের মাধ্যমে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন শ্রমিকদের কল্যাণে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে এবং ইসলামি শ্রমনীতির গুরুত্ব আরও একবার জনগণের সামনে তুলে ধরে। তাদের এই প্রচেষ্টা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার সুরক্ষায় একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।