শেখ হাসিনার চুক্তি: বিপদে পড়তে পারেন নিজেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৪ অপরাহ্ন
শেখ হাসিনার চুক্তি: বিপদে পড়তে পারেন নিজেই

 ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে।


মধ্য জুলাইয়ে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন আগস্টে সরকার বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়। সরকার আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলির নির্দেশ দেয়, তবে আন্দোলনকারীরা পিছু হটেনি। ৫ আগস্ট ব্যাপক আন্দোলনের মুখে সরকার সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করেও ব্যর্থ হয় এবং ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় সরকার ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়, যার ফলে ৬৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ বিশ্লেষণকারী সাইট দ্য কনভারসেশনে উল্লেখ করা হয়েছে।


শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, নির্যাতন, গুম, অপহরণ, মানবতা বিরোধী ও গণহত্যার মতো গুরুতর অপরাধ। গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছে। 


ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ‘দ্য কনভারসেশন’-এ। চুক্তি অনুযায়ী, ভারত শেখ মুজিবুর রহমানের দুই খুনিকে ফিরিয়ে দিয়েছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি হয় এবং ২০১৬ সালে এটি সংশোধন করা হয়। শেখ হাসিনা তখন এই চুক্তি করতে মরিয়া ছিলেন, কারণ ১৯৭৫ সালের সেনা অভ্যুত্থানে নিহত শেখ মুজিবুর রহমানের দুই হত্যাকারী ভারতে অবস্থান করছিল। হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার তাদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝোলাতে সক্ষম হয়েছিল। 


২০২০ সালের ১১ এপ্রিল ক্যাপ্টেন আব্দুল মজিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অপরদিকে, ২০১৫ সালে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফার জেনারেল সেক্রেটারি অনুপ চেটিয়াকে ফেরত দিয়েছিল বাংলাদেশ। 


এখন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে তার প্রত্যর্পণের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, এবং ভারতে তার অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে।