মাদকসহ দুজনকে আটকের পর একজনকে অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু সালেহকে ক্লোজড করা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ান আহেমেদ- পিপিএম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, একটি অভিযোগের বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে। আর তদন্তের স্বার্থেই প্রশাসনিক কারণে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু সালেহকে আগৈলঝাড়া থানা থেকে ক্লোজড করে জেলা পুলিশ লাইন্স এ সংযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ রাহাত খান ও শিবু রায় নামে দুজনকে আটক করেন এএসআই আবু সালেহ। আটকের পরে শিবু রায়কে অর্থের বিনিময়ে ঘটনাস্থল থেকে ছেড়ে দিয়ে আসেন আবু সালেহ।
পরে আটক রাহাত খানকে আগের থেকে দ্বিগুণ অর্থে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এরপরে রাহাতকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
এর পরপরই বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে, ফলে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কান পর্যন্ত বিষয়টি গড়ালে তাৎক্ষণিক তারা তদন্তে নামেন।
এদিকে এ বিষয়ে অভিযুক্ত এএসআই আবু সালেহ বলেন, মাদকসহ রাহাত খানকে আটক করার সময় শিপু রায় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তবে তার কাছে কোনো মাদক না পাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এখন যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে গৈলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু বলেন, মাদকসহ দুজনকে আটকের পরে একজনকে ছেড়ে দেওয়ার কথা শুনেছি। মাদক বহন ও সেবন একই অপরাধ। মাদকের বিরুদ্ধে কেউ সুপারিশ করলে তাকেও আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
আর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরনদী সার্কেল) শারমিন সুলতানা রাখি জানান, এএসআই আবু সালেহ যদি মাদকসহ আটক করে কাউকে ছেড়ে দিয়ে থাকেন, তবে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।