ডিএসইতে চলমান দরপতনের মধ্যে এক সপ্তাহে বাজার মূলধন হ্রাস ৫ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: শনিবার ১৯শে অক্টোবর ২০২৪ ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
ডিএসইতে চলমান দরপতনের মধ্যে এক সপ্তাহে বাজার মূলধন হ্রাস ৫ হাজার কোটি টাকা

দেশের শেয়ারবাজারে চলমান দরপতন সাম্প্রতিক সময়ে নতুন এক দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) অন্তত চার কার্যদিবস জুড়ে মূল্যসূচক অব্যাহতভাবে কমেছে, যার ফলে বাজার মূলধন ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি হ্রাস পেয়েছে। চলতি পরিস্থিতিতে বাজারের প্রধান মূল্যসূচক ১৫০ পয়েন্টেরও বেশি পতন ঘটিয়েছে, আর লেনদেনের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।


অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর গত দশ সপ্তাহের মধ্যে নবম সপ্তাহে বাজারের এই পতন ঘটছে। মূলত, অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে ১০ সপ্তাহের মধ্যে ৯ সপ্তাহেই শেয়ারবাজারের মূল্যসূচক হ্রাস পেয়েছে। তবে, প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পতনের পর তৃতীয় সপ্তাহে বাজার কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে পায়। কিন্তু চতুর্থ সপ্তাহের পর থেকে আবার দরপতন শুরু হয়, যা পঞ্চম থেকে নবম সপ্তাহেও অব্যাহত থাকে।


গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে, তবে বিপরীতে ৩৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। এ ছাড়া ১৭টি শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এর ফলে, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৯ হাজার ১৬৬ কোটি টাকায়, যা আগের সপ্তাহের ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৪১৬ কোটি টাকার তুলনায় ৫ হাজার ২৫০ কোটি টাকা কম।


অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধারাবাহিক পতনের ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসছে না। সামগ্রিকভাবে, বাজারের বর্তমান অবস্থা দেশের অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে।


বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, যদি শেয়ারবাজারে এই পতন অব্যাহত থাকে, তাহলে তা দেশের অর্থনীতির উপর আরও গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। 


এ অবস্থায়, শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ও পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দিকে নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সামগ্রিকভাবে, দেশের শেয়ারবাজারে পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে।