সাইকেল বেচে বিমানবন্দর দেখতে যাওয়া দুই স্কুলছাত্রকে পরিবারে হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , উপজেলা প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৩৮ অপরাহ্ন
সাইকেল বেচে বিমানবন্দর দেখতে যাওয়া দুই স্কুলছাত্রকে পরিবারে হস্তান্তর

স্কুলে যাতায়াতের সাইকেল বিক্রি করে ঢাকা শহরের রাস্তার ওপর রাস্তা আর বিমানবন্দর দেখতে যাওয়া কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের বারুইটারি গ্রামের দুই স্কুলছাত্রকে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদেরকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে উদ্ধার করে সোমবার সন্ধ্যায় ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের সহায়তায় পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।


ঢাকা দেখতে যাওয়া স্কুলছাত্ররা হলো আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের বারুইটারি গ্রামের নুরনবীর ছেলে আইয়ুব আলী (১৩) ও জহুরুল ইসলামের ছেলে নাফিউল ইসলাম নিরব (১১)। আইয়ুব পাটেশ্বরী বরকতিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি ছাত্র। নিরব একই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।


পুলিশ জানায়, আইয়ুব ও নিরব গত ২১ সেপ্টেম্বর স্কুলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। সেদিন সন্ধ্যায় তারা আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের সন্ধান না পেয়ে পরিরারের পক্ষ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।


অপরদিকে আইয়ুব ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় থাকা তার বড় ভাইকে ফোন করে জানায় 'আমরা দুইজন ঢাকা দেখতে আসছি, তুমি আমাদের নিয়ে যাও।' এরপর তাদের পরিবার ও ভূরুঙ্গামারী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার সমন্বয়ে তাদেরকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে ভূরুঙ্গামারীতে আনা হয়।


জানাগেছে, তারা অনেক দিন আগে থেকে ঢাকা দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। এজন্য আইয়ুব বাড়ি থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা নেয়। নিরব তার স্কুলে যাতায়াতের সাইকেল ১ হাজার টাকায় বিক্রি করে। সেই টাকা দিয়ে তারা গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রথমে লোকাল বাসের ছাদে রংপুর যায়। পরে রংপুর থেকে ঢাকাগামী বাসে ঢাকায় যায়।


কাউকে কিছু না জানিয়ে তারা দুজন ঢাকা গেছে কেন জানতে চাইলে তারা পুলিশকে জানায়, ‘টিভিতে দেখেছি ঢাকার রাস্তার উপর রাস্তা আছে, বিমানবন্দর আছে এগুলো দেখতে ঢাকা গিয়েছি।’ 


ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, গাজীপুর থেকে উদ্ধার করা ওই স্কুলছাত্রদের গতকাল সোমবার তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের শিশুদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।