গত চার বছরেও উদঘাটন হয়নি কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চার বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও যশোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবু বকর আবু হত্যার রহস্য। আবু বকর আবুকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হলেও আজও তার কোনো কুলকিনারা পায়নি পুলিশ। তার পরিবারের অভিযোগ, ধামাচাপা পড়ে গেল মামলাটি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর আবু ঢাকায় গেলে ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর পল্টনের মেট্রোপলিটন হোটেল এলাকা থেকে অপহরণ হয়েছিলেন। অপহরণের ৪ দিন পর ১৯ নভেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন তেলঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওই সময় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় প্রথমে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কিন্তু গত চার বছরেও মামলাটি সম্পর্কে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বা পিবিআই এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কোনো তথ্য তাঁর পরিবারকে জানাতে পারেনি।
আবু বকর আবুর ছোট বোন আঞ্জুমানারা জানান, ‘আমার ভাই কেশবপুরের বিএনপি নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল। একজন পেশাদার রাজনীতিবিদ হিসেবে মানুষের সেবা করতে গিয়ে তিনি জীবনে বিয়ে-শাদিও করেননি। অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় গত ৪ বছরেও আমার ভাইকে হত্যার কোনো ক্লু উদ্ধার হয়নি। এমনকি গত চার বছরের মধ্যে এই মামলা সম্পর্কে পুলিশের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আমাদেরকে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি।’ এ সময় তিনি তাঁর ভাইয়ের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
পৌর বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ জুলফিকার আলী জানান, ‘আবু ভাইয়ের হাত ধরেই কেশবপুরে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। চির কুমার জনপ্রিয় এ নেতা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের সেবা করে গেছেন। তাঁকে সব শ্রেণি পেশার মানুষ আবু ভাই বলেই ডাকত।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।