সমুদ্র উপকুলবাসীর মাঝে আতংক ছড়িয়ে চলে গেছে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং। সোমবার বিকেল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব। রাতভর সমুদ্র পাড়ের মানুষ আতংকে থাকলেও সমুদ্রে ভাটা এবং পশ্চিমা বাতাসে কেটে গেছে সিত্রাং।
মঙ্গলবার ভোরে আকাশে রোদের ঝলক দেখে আতংক কাটিয়ে হাসির ঝিলিক দেখা গেছে মানুষের মাঝে। রাতে সমুদ্রে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট পানি বৃদ্ধি এবং টানা বর্ষনে তলিয়ে গেছে নি¤œাঞ্চলের ঘরবাড়ি ও মাছের ঘের। গাছপালা উপড়ে গেছে বাতাসের তীব্রতায় কিছু কিছু এলাকায়। আমন বীজতলা তলিয়ে গেছে। কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃস্টি হলেও মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে পানি নেমে গেছে।
ঝড়ো হাওয়া ব্যাতিত তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি কুয়াকাটা সমুদ্র উপকুলে। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে মানুষজন নিরাপদে ঘরে ফিরেছে। সমুদ্র পাড়ের ব্যবসায়ীরা দোকানে ফের তাদের পন্য সামগ্রী সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে।
অপরদিকে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং উপভোগ করতে আসা অনেক পর্যটক প্রশাসনের বাধায় রাতে সমুদ্রে নামতে না পারলেও সকাল হওয়ার সাথে সাথে সমুদ্রের পানিতে নেমে হই হুল্লোড়ে মেতে ওঠে। মনে হয়েছে এই এলাকায় কিছুই হয়নি এমন মনোভাব দেখা গেছে পর্যটকদের মাঝে। সকাল থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে ঝলমলে রোদ রয়েছে।
গোটা উপকূলের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং সমুদ্র পাড়ের মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে রেখে গেছে উপকুলীয় এলাকায় থাকা সবুজ বেস্টনীর উপর কিছু ক্ষত।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।