বরিশালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২০শে অক্টোবর ২০২২ ০৭:২৩ অপরাহ্ন
বরিশালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

বিনা উস্কানিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আ. রহিমকে প্রকাশ্য দিবালোকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কথিত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে। সেইসাথে শিক্ষার্থীকে রক্ষা করতে গিয়ে স্থানীয় চায়ের দোকানদার আসলামও মারধরের শিকার হয়েছেন।


বৃহষ্পতিবার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বরিশাল নগরের আমতলা এলাকার স্বাধীনতা পার্কের পশ্চিম প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে।


সহপাঠীকে মারধরের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে আসলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃস্টি হয়। যদিও সন্ধ্যার মধ্যে হামলাকারীকে গ্রেফতারের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।


বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আ. রহিম । সে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের জন্য নগরের আমতলা এলাকার স্বাধীনতা পার্কের পশ্চিম প্রান্তে আসলাম এর চায়ের দোকানের সামনে অপেক্ষা করছিলো। এসময় ঘটনাস্থলে সিকদার পাড়া এলাকার বখাটে ও মাদকসেবী এক যুবক সেখানে আসে এবং বিনা উস্কানিতে আ. রহিমকে বেধম মারধর করে। পরে রহিমকে রক্ষায় চায়ের দোকানদার আসলাম এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।


শিক্ষার্থীরা জানান, সহপাঠীর ওপর হামলার খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু তার আগেই ‍ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন হামলকারীরা সিকদার পাড়া এলাকার কথিত সন্ত্রাসী শাহাবুদ্দিনের ভাই মহিউদ্দিন।


চায়ের দোকানদার আসলাম বলেন, কোন  কথা বার্তা ছাড়াই মহিউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে।আমি মারধর করতে বারণ করলে মহিউদ্দিন ভাই গালিগালাজ শুরু করেন এবং আমাকেও মারধর করে।


এদিকে খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি  মডেল থানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে আসে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম  বলেন, বিনা কারনে সহপাঠীকে মারধরের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে আসে। তারা হামলাকারীকে গ্রেফতার দাবি তোলে এবং সড়ক অবরোধও করতে চেয়েছিলো। তবে আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি। থানা পুলিশও আশ্বস্ত করেছে সন্ধ্যার মধ্যে হামলাকারীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবে। তাই পুলিশের দেয়া আশ্বাসের কারনে শিক্ষার্থীরা কোন কর্মসূচি পালন করেনি।


এ ঘটনার পর আহত অবস্থায় শিক্ষার্থী আব্দুর রহিমকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেও বলে জানান তিনি।


এদিকে শিক্ষার্থীরা বলেন, পুলিশের দেয়া আশ্বাস অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে হামলাকারীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা না হলে আমরা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।


এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজিমুল করিম বলেন,আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তারপরও যত দ্রুত সম্ভব হামলাকারীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।