ভোলার চরফ্যাশনে একটি দেশি হাঁস অস্বাভাবিক কালো ডিম পেড়েছে। সেই ডিম নিয়ে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দুদিন ধরে ওই ডিম দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করছে হাঁসের মালিক তাসলিমা বেগমের জিন্নাগত ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে। বুধ ও বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) পরপর দুদিনই কালো ডিম দেয় হাঁসটি।
তাসলিমা বেগম জানান, তার আট মাস বয়সী হাঁস বুধবার সকালে একটি কালো ডিম দেয়। ডিমটি কালো দেখে ভয় পেয়ে যান তিনি। পরে বাড়ির অন্যদের দেখালে মুহূর্তের মধ্যে কালো ডিমের সংবাদটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। দেশি হাঁসের কালো ডিম দেখতে বাড়িতে মানুষজন ভিড় জমায়।
তাসলিমার স্বামী আবদুল মতিন জানান, তার স্ত্রী দেশি প্রজাতির ১১টি হাঁস পালন করেন। বুধবার সকালে হাঁস ছাড়তে গিয়ে ওই কালো রঙের ডিমটি দেখতে পেয়ে অনেকটা চমকে ওঠেন। বৃহস্পতিবার সকালে একইভাবে আরও একটি কালো ডিম দেয় ওই হাঁসটি।
চরফ্যাশন উপজেলার উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বুধবার সকালে কালো ডিমের বিষয়টি জানতে পেরে আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে সত্যতা পেয়েছি। বৃহস্পতিবার আরও একটি কালো ডিম দিয়েছে হাঁসটি। তবে প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনের ডিমে কালো রং কিছুটা কম। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। এ ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল জানান, তার জানামতে দেশি হাঁসের কালো ডিম দেয়া এই প্রথম। জিংডিং জাতের একপ্রকার হাঁস হালকা নীল রঙের ডিম দেয়, কিন্তু কোনো দেশি হাঁস কালো ডিম দেয়–কখনো দেখেননি বা শোনেননি।
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় ব্রিডের কাদারনাথ বা কালো মাসি জাতের মুরগি কালো ডিম দেয়। যার মাংসও কালো। তবে দেশি হাঁস কালো ডিম দেয়ার নেপথ্যে জরায়ুর কোনো সমস্যা হতে পারে। সাধারণত হাঁসের জরায়ুতে ডিমের খোসাটি ১৯ ঘণ্টা থাকে। তবে মনে হচ্ছে, এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। কালো ডিম দেয়া অব্যাহত থাকলে ডিমটি পরীক্ষার জন্য প্রাণিসম্পদ পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।