শয়নকক্ষে পড়ে ছিল বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ; পুলিশ হেফাজতে পুত্রবধু

নওগাঁর মান্দায় শয়ন কক্ষে থেকে এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের পারনুল্লাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত বৃদ্ধা আকলিমা বেগম (৭০)। তিনি ওই গ্রামের মৃত নুর উদ্দিনের স্ত্রী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত বৃদ্ধার পুত্রবধূ লাইলী বেগমকে  আজ ( মঙ্গলবার ) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদিকে আজ বেলা ১১টার দিকে নিহত বৃদ্ধার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আকলিমা বেগমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। তিনি তাঁর ছোট ছেলে আবু তালেবের বাড়িতে থাকতেন। মেজ ছেলে আজিজুল ইসলাম ঢাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করায় তাঁর স্ত্রী লাইলী বেগম বাড়িতে একাই থাকেন। গত বৃহস্পতিবার  সকালে গৃহবধু লাইলী বেগম তাঁর বাবার বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মানিকগ্রামে বেড়াতে যাওয়ার সময় বাড়ি দেখাশোনার জন্য শাশুড়িকে বাড়িতে একা রেখে যান।

গতকাল  রাত ৮টার দিকে গৃহবধু লাইলী বাড়ি ফিরে সদর দরজা তালাবদ্ধ দেখে আশপাশের বাড়িতে শাশুড়ির খোঁজ করেন। তার কোন খোঁজ না পেয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় দরজার তালা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। বৃদ্ধা আকলিমা বেগমকে শয়নকক্ষের খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এর পর স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ওই বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে নিহত বৃদ্ধার বড় ছেলে মো. আবুল কাসেম বলেন,  আমার মাকে হত্যা করে খুনিরা বাড়ির বাইরে থেকে দরজায় তালা মেরে চলে গেছে। কী কারনে বা কে আমার মাকে এমন নির্মমভাবে মেরে ফেলেছে তা জানিনা। তবে যেই জড়িত থাক তাকে যেন পুলিশ খুঁজে বের করে।