প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১২:২৩
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ইমান এবং আমলের দৃঢ়তা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত এবং হাদিস অধ্যয়নের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। বিশেষত বর্তমান সময়ে সামাজিক ও নৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়ার জন্য এই শিক্ষাগুলি অপরিহার্য। ইসলামি শিক্ষাবিদরা বলেন, নিয়মিত নামাজ, রোজা এবং দানের মাধ্যমে মানুষের মন ও চরিত্রের পরিশোধন হয়।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেছেন, একজন মুসলিমের জীবনের উদ্দেশ্য কেবল নিজের জন্য নয়, বরং সমাজের কল্যাণ ও শান্তির জন্যও কাজ করা। এ সূত্রে ইসলামী শিক্ষায় সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড এবং দয়া, সহমর্মিতা ও সততার মূল্যবোধের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান বিশ্বে যুবসমাজকে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিতে গড়ে তুলতে মসজিদ, মাদ্রাসা এবং ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সেমিনার পরিচালনা করছে। এসব কার্যক্রমে কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি, সামাজিক নৈতিকতা, নেতৃত্ব ও সহনশীলতার শিক্ষা দেওয়া হয়।
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমান প্রযুক্তি ও যোগাযোগের যুগে অনলাইনে ইসলামী শিক্ষার প্রচার ও সম্প্রসারণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যুবসমাজকে মোবাইল অ্যাপ, ভিডিও টিউটোরিয়াল ও ওয়েবিনারের মাধ্যমে কোরআন ও হাদিস শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন জীবনযাপন ও পরিবেশ রক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। হাদিসে উল্লেখ আছে, প্রকৃতি ও সম্পদ রক্ষা করা প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব।
বিশ্বজুড়ে ইমানদার মুসলিমরা কোরআন ও হাদিস অনুসারে নিজেদের দৈনন্দিন জীবন পরিচালনা করে নৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে শক্তিশালী সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারাবাহিক প্রয়াস মানবজীবনে স্থায়ী শান্তি ও সুস্থতা আনার অন্যতম মাধ্যম।
এমনকি ছোট ছোট দান, দোয়া ও উপকারমূলক কাজও ইসলামী দৃষ্টিকোণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিম উম্মাহর কাছে প্রত্যেকের দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণ ও সদাচারী হওয়া।
ইসলামী শিক্ষা অনুযায়ী, দুনিয়ার সাফল্য অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে আখিরাতের মুক্তিও নিশ্চিত করা সম্ভব। তাই আজকের মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো বিশ্বাস, নৈতিকতা এবং সৎ কার্যকলাপের সঙ্গে জীবন পরিচালনা করা।
#ইসলাম #কোরআন #হাদিস #মুসলিম_উম্মাহ #ইমান #দোয়া #ইনিউজ৭১ #enews71