ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ভাতগাঁও গ্রামে ১৫ মার্চ শনিবার দুপুরে রুমা আক্তার (৩০) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রুমা দুই সন্তানের জননী ছিলেন। তার মরদেহটি গ্রামের একটি ভূট্টা ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন (৪৫) পলাতক রয়েছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, রুমা দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে তার স্বামী দেলোয়ার হোসেনের হাতে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার ছিলেন। তাদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেনের অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। রুমা এ সম্পর্কে প্রতিবাদ জানালে, তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় এবং পরে তাকে হত্যা করে ভূট্টা ক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
এদিকে, দেলোয়ারের পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে কিছুই বলতে রাজি হননি। তবে এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রুমা একটি ভালো মেয়ে ছিলেন। তারা বলেন, দেলোয়ার একজন অটো চালক এবং বিভিন্ন সময়ে তাকে রুমাকে মারধর করতে দেখেছেন তারা। শনিবার দুপুরে গ্রামটির ভূট্টা ক্ষেতে রুমার লাশ দেখতে পাওয়ার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এলাকাবাসীরা নিহতের জন্য দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন।
ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীন মোহাম্মদ ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, "ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা পরে গ্রহণ করা হবে।"
এ ঘটনায় পুলিশের তৎপরতা জারি রয়েছে এবং দেলোয়ার হোসেনের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। স্থানীয়রা দ্রুত বিচার দাবি করছেন এবং পরিবারের পক্ষ থেকেও কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।