জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) ক্ষমতা সীমিত করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার প্রকাশিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনবিষয়ক এক প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ উঠে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষ ও কার্যকরভাবে সব বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনা তদন্ত করতে হবে। এনটিএমসি নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা লঙ্ঘন করছে উল্লেখ করে সংস্থাটি বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর জবাবদিহি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের অনুসন্ধান দলটি মোট ৫০টি সুপারিশ করেছে, যার মধ্যে আনসার-ভিডিপির বেসামরিকীকরণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিজিবি ও ডিজিএফআইসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আইনি ক্ষমতা কমানোর পরামর্শও দিয়েছে তারা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাহিনীর কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলে তাকে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো উচিত। পাশাপাশি আনসার ও বিজিবিকে সামরিক বাহিনীর আওতার বাইরে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
পুলিশি নির্যাতনের তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছে। একইভাবে সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবির জন্য স্বাধীন জবাবদিহি ও বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে বেসামরিক প্রশাসনের অধীনে রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের এ সুপারিশগুলো নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি। তবে এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মতামত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর জবাবদিহিতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছে। জাতিসংঘের সুপারিশ সেই দাবিগুলোকে নতুন মাত্রা দিল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।