বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান খাগড়াছড়িতে আয়োজিত শিল্প ও বস্ত্র মেলায় পরিদর্শন করেছেন। শুক্রবার সকালে নারিকেল বাগান রোড অবসর ভবন মাঠে আয়োজিত এই মেলায় তিনি উপস্থিত হন। তার সঙ্গে ছিলেন রিজিয়ন কমান্ডারের সহধর্মিণী মিসেস ফারজানা আক্তার চৌধুরী ও সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাদেমুল ইসলাম।
এই মেলাটি তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি (গ্রাসরুটস) খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে। সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি রেকনা খীসা জানান, মেলাটি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে, যেখানে ৪০টি স্টল রয়েছে এবং বাচ্চাদের জন্য বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। মেলায় স্থানীয় ও দেশীয় শিল্প ও বস্ত্র পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে, যা উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক পরিসর বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি রোকেয়া নাসরিন বলেন, নারীদের উন্নয়নে সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে এবং এ মেলাও তারই একটি অংশ। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বিকাশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য বিনোদনের সুযোগ করে দিতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি সকলকে মেলায় আসার আমন্ত্রণ জানান।
এই মেলা উদ্যোক্তাদের নিজেদের পণ্য প্রদর্শন ও বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ করে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় কারুশিল্প, তাঁত, হস্তশিল্প ও দেশীয় বিভিন্ন সামগ্রী ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, এর মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে তৈরি পণ্যের প্রসার ঘটবে এবং ক্রেতারা মানসম্মত পণ্য কিনতে পারবেন।
পরিদর্শনকালে রিজিয়ন কমান্ডার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করেন এবং তাদের কাজের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের মেলা স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং নারী উদ্যোক্তাদের আরও এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করে।
আয়োজকরা জানান, মেলায় হস্তশিল্প, জামদানি, মসলিন, নকশিকাঁথাসহ বিভিন্ন দেশীয় পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্য ও প্রসাধনী সামগ্রীও রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করছে। মেলায় বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন রাইড, কুইজ প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন রয়েছে।
খাগড়াছড়িবাসীর জন্য এ ধরনের একটি মেলা নিঃসন্দেহে বিনোদনের বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। উদ্যোক্তারা আশাবাদী, আগামীতে আরও বৃহৎ পরিসরে এ ধরনের মেলা আয়োজন করা সম্ভব হবে। দর্শনার্থীরাও মনে করছেন, স্থানীয় পণ্যকে উৎসাহিত করতে ও নতুন উদ্যোক্তাদের সুযোগ দিতে এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।