নামাজই মানুষের জীবনে চরম সাফল্য বয়ে আনে। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় জীবন পর্যন্ত মানুষ নৈতিক শিক্ষা লাভ করে। আর এ শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমেই মানুষ দুনিয়ার কল্যাণ এবং পরকালের সফলতা অর্জনে সক্ষম হন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘যে সব মুমিন বিনয়ের সঙ্গে নামাজ আাদায় করেন তাদের জীবন অবশ্যই সাফল্যমণ্ডিত।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১-২)
সুতরাং ইসলামের হুকুম হলো কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশিত পথে ও মতে যথাযথভাবে নামাজ আদায় করা। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ঠিকমতো নামাজ আদায়কারীর জন্য আল্লাহ তাআলা ৫টি পুরস্কার দান করবেন-
> জীবিকার কষ্ট দূর করবেন।
> কবরেরআজাব থেকে মুক্তিদান করবেন।
> ডান হাতে আমলনামা দেবেন।
> পুলসিরাত বিজলির ন্যায় দ্রুত অতিক্রম করাবেন।
> বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
সুতরাং নামাজ আদায়ের ব্যাপারে কোনো অজুহাত নয়। দুনিয়ার জীবনে রিজিকের পেরেশানি থেকে মুক্ত থাকতে এবং পরকালীন জীবনে কবর থেকে শুরু করে জান্নাতে যাওয়া পর্যন্ত সব পেরেশানি থেকে নিজেকে বাঁচাতে নামাজের বিকল্প নেই। হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা নামাজি ব্যক্তির প্রতি দুনিয়ার দুঃখ-দুর্দশা ও পরকালের পেরেশানিতে রহমত করবেন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে দুনিয়া ও পরকালের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।