রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, ৩০ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার ২৯শে জানুয়ারী ২০২৫ ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, ৩০ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর ৩০ ঘণ্টা পর আবারও স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন পরিষেবা। বিভিন্ন দাবি নিয়ে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে কর্মবিরতিতে যান রেলের রানিং স্টাফরা। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে মাইলেজ সমস্যা, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি এবং কর্মপরিবেশ উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য ছিল। মঙ্গলবার রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের নেতৃত্বে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রানিং স্টাফদের কয়েক দফা বৈঠক হয়। বৈঠকে তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়ন। এরপর বুধবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রাজশাহী থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার মাধ্যমে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। 


কর্মবিরতির সময় সারা দেশে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক যাত্রী গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে স্টেশনেই রাত কাটান। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। রাজশাহী স্টেশন মাস্টার শহিদুল আলম জানান, কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পরপরই ট্রেন চলাচল শুরু হয় এবং যাত্রীদের সমাগম বেড়ে যায়। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্যে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ার পর ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে মধুমতী এক্সপ্রেস, ৭টা ৩৫ মিনিটে বনলতা এক্সপ্রেস এবং ৭টা ৫০ মিনিটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন রাজশাহী স্টেশন ছেড়ে যায়। 


যাত্রীরা ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় খুশি হলেও কর্মবিরতির সময় তাদের যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী রমজান আলী বলেন, মঙ্গলবার অনেকেই গন্তব্যে যেতে পারেননি। স্টেশনে এসে শুনেছি কেউ কেউ এখানেই রাত কাটিয়েছেন। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় সকাল থেকে স্টেশনে যাত্রীদের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। 


রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রানিং স্টাফদের বৈঠকে মাইলেজ সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি অন্যান্য দাবিগুলো নিয়েও আলোচনা হয়। রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, রানিং স্টাফদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং সেগুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, রেলওয়ের সার্বিক উন্নয়নে সরকার কাজ করছে এবং কর্মীদের সমস্যা সমাধানে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


কর্মবিরতির সময় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেক ব্যবসায়ী পণ্য পরিবহন করতে না পেরে সমস্যায় পড়েন। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় তাদের মধ্যেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। রাজশাহীর একজন ব্যবসায়ী বলেন, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় আমরা আবারও পণ্য পরিবহন শুরু করতে পেরেছি। 


রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রানিং স্টাফদের দাবিগুলো নিয়ে আগেও কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবার তারা কর্মবিরতির ডাক দেন। কর্তৃপক্ষ এবার তাদের দাবিগুলো সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন। তবে রেলওয়ে কর্মীদের সমস্যা দীর্ঘদিনের এবং এ নিয়ে তাদের অসন্তোষ রয়েছে বলে জানা গেছে। 


রেলওয়ে কর্মীদের সমস্যা সমাধানে সরকারের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, রেলওয়ে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রেলওয়ে কর্মীদের সমস্যা সমাধান না হলে এ ধরনের কর্মবিরতি ভবিষ্যতেও হতে পারে, যা যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যাপক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। 


ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এলেও রেলওয়ে কর্মীদের সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেলওয়ের সার্বিক উন্নয়নে সরকার কাজ করছে এবং কর্মীদের সমস্যা সমাধানে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে কতটা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। 


রেলওয়ে কর্মীদের সমস্যা সমাধানে সরকারের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, রেলওয়ে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রেলওয়ে কর্মীদের সমস্যা সমাধান না হলে এ ধরনের কর্মবিরতি ভবিষ্যতেও হতে পারে, যা যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যাপক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। 


ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এলেও রেলওয়ে কর্মীদের সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেলওয়ের সার্বিক উন্নয়নে সরকার কাজ করছে এবং কর্মীদের সমস্যা সমাধানে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে কতটা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। 


রেলওয়ে কর্মীদের সমস্যা সমাধানে সরকারের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, রেলওয়ে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রেলওয়ে কর্মীদের সমস্যা সমাধান না হলে এ ধরনের কর্মবিরতি ভবিষ্যতেও হতে পারে, যা যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যাপক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। 


ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এলেও রেলওয়ে কর্মীদের সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেলওয়ের সার্বিক উন্নয়নে সরকার কাজ করছে এবং কর্মীদের সমস্যা সমাধানে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে কতটা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। 


রেলওয়ে কর্মীদের সমস্যা সমাধানে সরকারের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, রেলওয়ে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রেলওয়ে কর্মীদের সমস্যা সমাধান না হলে এ ধরনের কর্মবিরতি ভবিষ্যতেও হতে পারে, যা যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যাপক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।