মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথার চুলও সাদা হয়ে যায়। অনেকে এটিকে চুল পেকে গেছে বলে উল্লেখ করেন। মাথার চুল সাদা হওয়া প্রসঙ্গে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক মর্যাদা ও ফজিলত বর্ণনা করেছেন। তা মুসলিম উম্মাহর জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক বড় নেয়ামত।
বার্ধক্যের কারণে যাদের মাথার চুল সাদা হয়ে যায়, তাদের প্রতিটি সাদা চুলের বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা বান্দার গোনাহ মাফ করে দেন। চুল সাদা হয়ে যাওয়ার বিনিময়ে গোনাহ মাফসহ অন্যান্য মর্যাদার কথাও ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
সে কারণেই তিনি তাঁর উম্মতকে সাদা চুল উঠিয়ে ফেলতে নিষেধ করেছেন। চুল সাদা হলে যেসব ফজিলত ও মর্যাদা লাভ করবে মুমিন, তা তিনি হাদিসে পাকে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা সাদা চুল উঠিয়ে ফেলো না। কেননা সেগুলো কেয়ামতের দিন আলো হবে। আর যে মুসলিম ব্যক্তির চুল বার্ধক্যজনিত কারণে সাদা হয় তার প্রতিটি সাদা চুলের বিপরীতে একটি করে সাওয়াব লেখা হয়, একটি করে গোনাহ মাফ করা হয় এবং একটি করে মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া হয়।’ (ইবনু হিব্বান)
সুতরাং চুল সাদা হয়ে গেল তা কোনোভাবেই উঠানো ঠিক নয়। মাথার চুল সাদা হয়ে গেলে এর বিনিময়ে কেয়ামতের দিন আলো লাভ, গোনাহ মাফ এবং মর্যাদা বৃদ্ধির চেয়ে আর কী সৌভাগ্যের হতে পারে?
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের উপর যথাযথ আমল কার তাওফিক দান করুন। সাদা চুল উঠিয়ে ফেলা থেকে শুরু করে হাদিস বিরোধী অন্যান্য কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।