পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় জান্নাতুল ফেরদাউস নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, এটি পরিকল্পিত হত্যা। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মো. ইসমাইল হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার রাতে শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রামভদ্রা গ্রামে জান্নাতুলের লাশ তার শ্বশুরবাড়ির ঘরের আড়া থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। জান্নাতুলের বাড়ি বাগেরহাট জেলার চিতলমারি উপজেলার শৈলদাহ গ্রামে।
নিহতের মা পারভীন বেগম অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো। ঘটনার দিনও মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে বলে তার ধারণা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রোববার রাতে জান্নাতুলকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. শিপন পাল জানান, জান্নাতুলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
স্বামী ইসমাইল হোসেন দাবি করেছেন, জান্নাতুল আত্মহত্যা করেছেন। তিনি জানান, ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ আল ফরিদ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যার ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, যা মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করবে। অভিযোগের ভিত্তিতে ইসমাইল হোসেনকে আটক করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এ ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা জড়িত, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।
গৃহবধূর এমন মর্মান্তিক মৃত্যু ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।