সকল মানুষই মৌলিকভাবে স্বাতন্ত্রপ্রিয়। নিজের মৌলিকত্ব বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে প্রত্যেকেই তাই নতুন কিছু করে। প্রত্যেক আর্টিস্ট তার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে সাজায় শিল্পের ক্যানভাস। একেকজন তুলে ধরে সমাজ-বাস্তবতার একেকটি দিক। পৃথিবীতে মৌলিকতায় ভাস্বর স্বাক্ষর রাখতে সকল শিল্পীই তার জীবনের সোনালী সময়টি ব্যয় করেন শিল্পের জন্য নিবেদিত হয়ে। আজারবাইজানের এক মুসলিম তরুণী তেমনি এক আপাত অসাধ্য সাধন করলেন মহাগ্রন্থ আল কুরআন হাতে লিখে শেষ করার মাধ্য দিয়ে।
দীর্ঘ তিন বছরের পরিশ্রমে তিনি রেশমি কাপড়ে সোনালী হরফে লিখে শেষ করেছেন পবিত্র কুরআন। তার নাম তানজালে মুহাম্মদজাদে। আজারবাইজানে রেশমি কাপড়ে সোনালী হরফে কুরআন লেখার কাজটি এর আগে আর হয়নি। তিনিই প্রথম যোগান্তকারী অভূতপূর্ব এ সিদ্ধান্ত নেন। ইতোপূর্বে রেশমি কাপড়ে কুরআন লিখা হয়নি। তিনি এ ব্যাপারে ইসলামি শরিয়তের অবস্থান জানতে চেয়ে স্থানীয় স্কলার্সের সাথে পরামর্শ করেন। তাদের মতামত আমলে নিয়ে তিনি এ মহান কাজ শুরু করেন। এ মোবারক কাজের জন্য তিনি উন্নতমানের নীল রেশমি কাপড় সংগ্রহ করে সোনালী হরফে তিন বছরে কুরআন লেখার কাজটি শেষ করেন।
৩৩ বছর বয়সী এই চিত্রশিল্পী ৫০ মিটার নীল রেশমী কাপড় ও ১৫০০ মিলিলিটার কালি ব্যবহার করেছেন। এতে সময় লেগেছে ৩ বছর। তিনি যে সিল্ক শিটে কুরআন লিখেছেন তার পরিমাপ ২৯×৩৩ সে.মি.। তানজালে মুহাম্মদজাদে শিল্প ও ইতিহাস নিয়ে পড়ছেন তুরস্কের মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সিল্কের উপর কুরআন লিখা শেষ করার পর আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এরকম ব্যতিক্রমী ও সৃষ্টিশীল কর্ম সম্পন্ন করতে পারায় আমি সত্যি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আরও কৃতজ্ঞ এ কারণে, আমিই আজারাবাইজানের প্রথম নারী হিসেবে সিল্কের মধ্যে কুরআন লিখতে পেরেছি। সূত্র: লাইফ ইন সাউদি আরাবিয়া ডট নেট
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।