নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন ওয়াক্তে সুনির্দিষ্ট কিছু সুরা দিয়ে নামাজ আদায় করতেন। এসব সুরা দিয়ে নামাজ পড়া উম্মতের জন্য সুন্নত। নামাজের এসব সুন্নত কেরাতগুলো কী
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজে যে সব সুরা দিয়ে নামাজ আদায় করতেন, সে সব সুরায় নামাজ আদায় করা সুন্নত। নামাজের মাসনুন সুরা ও কেরাতগুলো হলো-
সফর অবস্থায় সুরা ফাতেহার পর যে কোনো সুরা মিলিয়ে নিলেই চলবে। তবে সফর ছাড়া ইমাম বা একাকি নামাজির বিশেষ পরিমাণে সুরা পড়া সুন্নত।
১. ফজর ও জোহর নামাজে সুরা হুজরাত থেকে সুরা বুরুজ পর্যন্ত সুরাগুলোর মধ্য থেকে পড়া সুন্নত।
২. আসর ও এশার নামাজে সুরা তারিক্ব থেকে সুরা বায়্যিনা পর্যন্ত সুরাগুলোর মধ্য থেকে পড়া সুন্নত।
৩. মাগরিবের নামাজে সুরা যিলযাল থেকে সুরা নাস পর্যন্ত সুরাগুলোর মধ্য থেকে পড়া সুন্নত।
নিজে নিজে কোনো সুরা নির্দিষ্ট করে নেয়া ইসলামি বিধানের পরিপন্থী। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজে সাধারণত যেসব সুরা পড়তেন, নামাজে সে সব সুরা পড়া সুন্নত-
১. নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের সুন্নত নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়তেন।
২. নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিতর নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা দোহা, দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং তৃতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়তেন।
৩. জুমার দিন ফজরের নামাজে সুরা আদ-দাহর ও সুরা আস-সাজদা পড়তেন। হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনায়ও সুরা আস-সাজদাহর কথা এসেছে।
৪. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায়ই জুমার নামাজে সুরা আলা ও সুরা গাশিয়া অথবা সুরা জুমা এবং মুনাফিকুন পড়তেন।
৫. তিনি প্রত্যেক ফরজ নামাজের প্রথম রাকাত লম্বা করতেন। দ্বিতীয় রাকাত অপেক্ষাকৃত প্রথম রাকাতের তুলনায় কম কেরাত পড়তেন।
৬. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্যান্য নামাজ অপেক্ষা ফজর নামাজে লম্বা কেরাত পড়তেন।
৭. তাছাড়াও মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়ার কথা অনেকে বর্ণনা করে থাকেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুন্নত কেরাতের অনুসরণে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।