মহামারি থেকে মুক্তি চেয়ে বরিশালে মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার ২১শে জুলাই ২০২১ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
মহামারি থেকে মুক্তি চেয়ে বরিশালে মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া

মহামারী করোনা থেকে মুক্তি চেয়ে পবিত্র ঈদ-উল আযহার নামাজ শেষে বরিশালে মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া  দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম ‍উম্মাহ’র সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।




ঈদ জামাতে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিরা চোখের পানি ফেলে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া ‍এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন।



আজ বুধবার (২১ জুলাই) সকাল থেকে ‍ঈদের নামাজ ‍আদায় পরবর্তী ‍আল্লাহ্‘র নামে পশু কুরবানির মধ্যে দিয়ে বরিশালে কুরবানির ‍ঈদ ‍উদযাপন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।





বরিশাল নগরীতে এবার অনুষ্ঠিত হয়নি ‍ঈদের প্রধান জামাত। করোনা সংক্রমণ রোধে প্রতিটি মসজিদে মসজিদে ‍ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।



বরিশালের বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ, ‍এবায়দুল্লাহ্ মসজিদ, জামে কসাই মসজিদ, পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদে দুই থেকে তিনটি করে ‍ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।




এছাড়া বরিশাল বিভাগের মধ্যে সর্ববৃহৎ ‍ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে চরমোনাই দরবারে। সেখানে ‍ঈদের জামাতে ‍ঈমামতি করেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম।




এদিকে ঝালকাঠি ‍এন.এস কামিল মাদ্রাসা (হযরত কায়েদ সাহেব হুজুরের দরবার), মির্জাগঞ্জ দরদার শরীফ, গুঠিয়া বায়তুল ‍আমান জামে মসজিদসহ অন্যাান্য মসজিদে ‍ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।




ঈদের দুই রাকাত নামাজ ‍আদায় শেষে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ খুতবা। করোনা থেকে মুক্তিসহ দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম ‍উম্মাহ’র সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।





মোনাজাতে বলা হয়, ‘হে আল্লাহ আপনি আমাদের সব মুসলিম উম্মাহকে মাফ করে দিন। বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত করুন। বিশ্বমানবতাকে রক্ষা করুন। কঠিন এ করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন মাওলা। আপনার খাস রহমত নাজিল করুন।




মোনাজাতে করোনা মহামারি থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চান ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এ সময় 'আমিন আমিন' ধ্বনিতে মুখরিত হয় সকল মসজিদ।





এদিকে, করোনার কারণে বরিশালের বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে ‍ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ‍উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। প্রতিটি মসজিদেই মানুষের মাঝে অসচেতনতার চিত্র ফুটে ‍উঠে। অনেকের মুখে ছিলো না মাস্ক। ‍আবার করমর্দন ‍এবং কোলাকুলিও করেছেন অনেকে।





ঈদের নামাজ ‍আদায় শেষে শুরু হয় পশু কুরবানি। সড়ক, পাড়া-মহল্লা, বাড়ির ‍আঙিনা ‍এবং বিভিন্ন বাড়ির ছাদে ‍আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে ‍আল্লাহ’র নামে পশু কুরবানি করেন। ‍এখন চলছে মাংস বানানোর কাজ।





অপরদিকে, ‍ঈদ জামাতকে ঘিরে নগরজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ‍এবং র‌্যাবসহ বিভিন্ন ‍আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলোর বাইরে নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করে মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা। 




ফলে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ‍ঈদ ‍উল ‍আযহার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে।