প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫৭
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগ না দেওয়ায় ফাঁড়িতে ডেকে মারধরের অভিযোগ ওঠার পর বুধবার সকালে তাকে খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি দীঘিনালা থানার ওসি মো. জাকারিয়া নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় ক্যাবল ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনকে ফাঁড়িতে ডেকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এসআই নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে। ২৭ বছর বয়সী ইসমাইল হোসেনের বাড়ি মেরুং বাজার এলাকায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, তিনদিন আগে ফাঁড়ির ইনচার্জ তার কাছে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ চেয়েছিলেন এবং না দিলে লাইন ছাড়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
ইসমাইল জানান, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানাবেন বলেছিলেন। এরপর মঙ্গলবার ফাঁড়ির সামনে গেলে তাকে ভেতরে ডেকে নেওয়া হয় এবং চুরির অপবাদ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে তার দুই হাত গুরুতর জখম হয়েছে।
স্থানীয়রা এই ঘটনার খবর পেয়ে ফাঁড়ির সামনে অবস্থান নেয়। পরে দীঘিনালা থানার ওসি মো. জাকারিয়া উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জনগণ এই ঘটনায় দুঃখ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ন্যায্য বিচার দাবি করেছে।
যদিও এসআই নাজমুল হাসান ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তবে ওসি মো. জাকারিয়া জানান, নাজমুল হাসান নিজেই দোষ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এসআই নাজমুল হাসানকে স্বল্প সময়ের জন্য ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। প্রশাসন আশা করছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে।
স্থানীয়রা পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে দায়িত্বশীলতা ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব বজায় রাখা অপরিহার্য।
ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করেছে। পুলিশ প্রশাসন নিয়মিত তদারকি চালিয়ে যাচ্ছে যাতে কোনো নাগরিককে অব্যবস্থাপনা বা অন্যায়ের শিকার হতে না হয়।