কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় একটি ইসলামিক প্রোগ্রামে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর উপস্থিতিতে লাখো জনতার ভিড় দেখা যায়। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এই আয়োজনের জনসমাগম এতটাই বেশি ছিল যে, স্টেজে উঠতে তার প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যৎ প্রোগ্রামের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে আজহারী বলেন, বড় আয়োজনে অংশ নেওয়া তার জন্য ক্রমশ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তিনি লেখেন, “আমি কোরআনের একজন নগণ্য ছাত্র। আপনাদের দ্বীনি ভাই। দয়া করে আমার প্রতি একটু ইহসান করুন। গতবার দেশে ২০১৯-২০২০ সালেও ক্রাউড সামলাতে গিয়ে একাধিকবার ইনজুরির শিকার হয়েছিলাম। এবারও একই আশঙ্কা করছি। দয়া করে স্টেজে যাওয়া বা ফেরার পথে ভিড় করবেন না এবং ছবি তোলা বা মুসাফাহার জন্য ধাক্কাধাক্কি করবেন না।”
প্রতিটি আয়োজনে সুবিশাল এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা থাকে উল্লেখ করে তিনি জানান, সরাসরি না দেখলেও স্ক্রিনে পুরো আলোচনা দেখা সম্ভব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উপস্থিত বাহিনীর নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “কোরআনের মাহফিলের পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া এত বড় আয়োজন সফল করা অসম্ভব। আল্লাহর জন্য আপনাদের ভালোবাসা আমি অনুভব করি। তবে সবার সঙ্গে মুসাফাহা বা ছবি তোলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমার সীমাবদ্ধতাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।”
ভবিষ্যতে আরও সুশৃঙ্খল পরিবেশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “আগামী প্রোগ্রামগুলোতে আমরা অনেক বেশি সচেতন হব। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা চাই। শিগগিরই আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।”
প্রসঙ্গত, ইসলামিক আলোচনা অনুষ্ঠানে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এমন পরিস্থিতি তার নিরাপত্তা এবং প্রোগ্রামের সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আয়োজকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।