খুলনার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের হিজলিয়া গ্রামে একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যাতে দুটি ঘর পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতের এই ঘটনাটি ইউনিয়নের গাজী বাড়িতে ঘটে।
হিজলিয়া গ্রামের ময়না খাতুন (৬০) রাতে তার ঘরের খাটের কিনারে কেরোসিন বাতি (টেমি) জ্বালিয়ে রেখে প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে ল্যাট্রিনে যান। ফিরে এসে তিনি দেখতে পান তার ঘরের মধ্যে আগুন জ্বলছে। তার চিৎকার শুনে পাশের লোকজন জেগে উঠলেও আগুনের তীব্রতা এত ছিল যে তারা ততক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। এসময় ময়না খাতুনের ঘরের পাশাপাশি পাশের আরেকটি ঘরও পুড়ে যায়।
আগুনের তাপে দুই শতাধিক হাঁস-মুরগি পুড়ে মৃত হয়ে যায়। এছাড়া ঘরের যাবতীয় মালপত্র, মূল্যবান জিনিসপত্র, আসবাবপত্র সব কিছু আগুনে ছাই হয়ে যায়। স্থানীয় মসজিদের মাইকে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয়রা জানান, এই আগুনে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা সামাল দিতে তাদের অনেক সময় এবং অর্থের প্রয়োজন হবে। ময়না খাতুন এবং তার পরিবারের সদস্যরা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। আগুনের কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে কেরোসিন বাতি থেকেই আগুনের সূত্রপাত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে। তবে ক্ষতিপূরণের জন্য সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো সহায়তা পাওয়া না যাওয়ার কারণে পরিবারের সদস্যরা দিশাহীন হয়ে পড়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।