ভাষা শহীদের রক্তস্রোত আর মায়ের অশ্রু ভেজা অমর একুশ পালন করেন বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি বাংলাদেশি। আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এই দিবসকে যথার্থ মর্যাদায় স্মরণ করেন অন্য ভাষার মানুষরাও। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি, উচ্চারিত হয় শিশু-কিশোর, তরুণ-যুবকসহ সকলের মুখে। দেশের সীমানা পাড়ি দিয়ে যারা পরবাসে অবস্থান করেন তাঁরাও দিবসটি পালন করেন নানা আয়োজনের মাধ্যমে। তেমনি ভাবে সৌদি আরবের জেদ্দায় নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
মঙ্গলবার ভোরে মহান ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা দুই পর্বের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সকাল ৭টায় কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অমর একুশ উদ্যাপনের কর্মসূচির সূচনা হয়। শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কনসাল জেনারেল নাজমুল হক ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করার পর মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। যথাক্রমে প্রথমে রাষ্ট্রপতির বানী পাঠ করে শোনান কাউন্সিলর শ্রম আমিনুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন কাউন্সিলর হজ্ব জহিরুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানী পাঠ করেন কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠ করে শোনান কাউন্সিলর পাসপোর্ট ও ভিসা আবু লাইস।
এ সময় কনস্যুলেটের প্রথম কামরুজ্জামান ভূইয়ার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন জেদ্দায় নিযুক্ত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল নাজমুল হক ।
পরে দিবসটি উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে কনস্যুলেট প্রাঙ্গনে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে দিবসটি উদযাপন করে কনসাল জেনারেল ও কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তারা। এরপর বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ বাংলা শাখার, ইংলিশ স্কুল, আওয়ামী লীগের দশ সংগঠন, এগারো সংগঠন, প্রবাসী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ সহ রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব ইলেকট্রনিক মিডিয়া পঞ্চিমাঞ্চল সৌদি আরব নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ বাংলা শাখার ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংরেজি শাখায় বিভিন্ন অনু্ষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেন।
অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।