প্রতি বছরের অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পালিত হয় ‘বিশ্ব দৃষ্টি দিবস’। ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চক্ষুসেবা কার্যক্রমের প্রসারে এই দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল: “আপনার চোখকে ভালোবাসুন; শিশুর চোখের যত্ন নিন”। দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানসম্পন্ন চক্ষুসেবা ও শিশুদের চোখের যত্নের গুরুত্বকে তুলে ধরা।
আজ সারা দেশে এই দিবসটি গুরুত্বের সাথে পালিত হচ্ছে, বিশেষ করে ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট এ্যাণ্ড হসপিটাল কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে। এ অনুষ্ঠানে গাজী নজরুল ইসলাম ফয়সল, প্রফেসর ডঃ মোস্তফা হোসেন, এবং হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ‘২.৫ নিউ ভিশন জেনারেশন’ এবং অপ্টোমেট্রি এসোসিয়েশন বিশেষ সহযোগিতা প্রদান করেছে।
ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট দেশের ১২টি জেলায় ১৭টি প্রাথমিক চক্ষু সেবা কেন্দ্রে এই দিবসটি পালন করেছে। সম্প্রতি সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বিনামূল্যে চক্ষুসেবা প্রদান করা হচ্ছে। গত মাসে মোট ৭৬,০৩০ জনকে এই সেবা দেওয়া হয়েছে, যা ৩১ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এর মাধ্যমে মোট ১২৫,০০০ মানুষের চক্ষুসেবা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “চোখের রোগ সাধারণত ব্যাথামুক্ত হয়, ফলে শিশুরা বুঝতে পারে না। তবে একটু সচেতন হলে এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।” তারা আরও বলেন, চোখের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ চোখের অসুস্থতা শিশুদের পড়াশোনা ও ভবিষ্যৎ উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। চল্লিশ বছরের উর্ধ্বে সকলের বছরে অন্তত একবার চক্ষু পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দিবসের অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, পরে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে খামারবাড়ী এলাকা ঘুরে র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও প্রায় ১৫০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ব দৃষ্টি দিবসের এ কর্মসূচি আমাদের চোখের যত্ন নিতে এবং শিশুদের চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার গুরুত্বকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।