বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম কোনো কৌশলে দেশে প্রবেশ করলে তাকে তার কৃতকর্মের জন্য ফাঁসিতে ঝুলতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ব্রিটিশ প্রভাবশালী টেলিভিশন চ্যানেল আইটিভি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা জানান। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কাউকে রাষ্ট্রবিহীন করা যায় না, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল হলে শামীমা রাষ্ট্রহীন হয়ে যাবে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের করণীয় কি হবে?
এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি বাংলাদেশের ভাবার বিষয় নয়। সে ব্রিটেনের বোঝা, বাংলাদেশের নয়। শামীমা বাংলাদেশের নাগরিক নয়, নাগরিকত্বের জন্য কখনও আবেদনও করেনি। তার মা একজন ব্রিটিশ নাগরিক। সুতরাং এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কিছুই করার নেই। যদি এথনিক অরিজিনের সুযোগ নিয়ে শামীমা বাংলাদেশে ঢুকে যায় তাহলে কি হতে পারে? জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, শামীমা বাংলাদেশে ঢোকার কোনো প্রশ্নই আসে না, যদি কোনো কৌশল নিয়ে ঢোকেনও তাহলে সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ ফাঁসি কাষ্টে ঝুলতে হবে তাকে। টেরোরিজমের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিজস্ব আলাদা আইন আছে। এই আইনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম। ২০১৫ সালে তার আরও দুই বান্ধবীসহ তুরস্ক সীমান্ত হয়ে সিরিয়ায় পৌঁছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেন। সেখানে যাওয়ার পর নেদারল্যান্ডস থেকে আসা এক আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেন। কিন্তু তার স্বামী সম্প্রতি সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর একা হয়ে যান শামীমা। এরপরই তিনি যুক্তরাজ্যে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু আইএসে যোগ দেয়া নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা না থাকায় তা নিয়ে যুক্তরাজ্যে সমালোচনা হচ্ছে। শামীমা এখন ১৯ বছর বয়সী একজন মা। তিনি বর্তমানে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।