ভারতে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলার জ্যাম গেইটের কাছে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের একটি নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় দুইজন তরুণ সেনা কর্মকর্তা ও তাদের দুই মেয়ে বন্ধুকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, হামলাকারীরা লুটপাটের উদ্দেশ্যে এসেছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, হামলাকারীরা পিস্তল, ছুরি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আটজনের একটি গ্রুপ হিসেবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তারা সেনা কর্মকর্তাদের মারধর করে এবং তাদের একজন মেয়ে বন্ধুকে গণধর্ষণ করে। ঘটনার দিন বিকেলে, দুই সেনা কর্মকর্তা ও তাদের মেয়ে বন্ধুরা ছোটি জ্যামের ফায়ারিং রেঞ্জের কাছে ঘুরছিলেন, তখনই এই হামলা ঘটে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সেনা কর্মকর্তাদের একজন ও একজন নারীকে জিম্মি করে হামলাকারীরা ১০ লাখ রুপি মুক্তিপণ দাবি করে। সেনা কর্মকর্তা দ্রুত তার ইউনিটে ফিরে গিয়ে ঘটনাটি তার কম্যান্ডিং অফিসারকে জানান। কম্যান্ডিং অফিসার ঘটনাটি পুলিশকে জানালে, পুলিশ দ্রুত সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে গাড়ি আসতে দেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যেই দুইজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, যার একজনের পূর্বে অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে। হামলার শিকার চারজনকে মহউ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, দুইজন সেনা কর্মকর্তা আহত হয়েছেন এবং একজন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
ইন্দোর রুরাল এসপি হিতিকা ভাসাল জানিয়েছেন, লুট, ডাকাতি, ধর্ষণ সম্পর্কিত (বিএনএস) ধারা এবং অস্ত্র আইনের অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে একটি ব্যাপক অভিযান শুরু করা হয়েছে।
এই ঘটনায় পুরো ভারতজুড়ে উত্তেজনা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, এবং দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনসিদ্ধ বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।