সম্প্রতি সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্য বিধি মেনে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে আটকা পড়া বাংলাদেশী যাত্রী দেশে ফেরত আসছে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে ভারত থেকে ফেরত আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা এবার ঈদ করলেন কোয়ারান্টাইনে থাকা আবাসিক হোটেলে। ঈদের দিন তাদের কেউ কোন খোজ খবর রাখেনি।
এমনকি উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির পক্ষ থেকেও কোন খাবার দেওয়া হয়নি। তারা হোটেলের খাবার খেয়ে আবাসিক হোটেলের চার দেয়ালে দিন কাটাচ্ছেন।
দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকারপর ভারতে আটকে থাকা পাসপোর্ট যাত্রীদের দেশে অভ্যন্তরে আগমনে অনুমতি দেয় সরকার ।
গত ১৯ মে থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে এ পর্যন্ত ৩৩৭ জন পাসপোর্ট যাত্রী ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করেন। এদেরকে নিজ খরচে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেনটাইনে বাধ্যতামুলক রাখা হয় হিলি ও বিরামপুরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে।
এদের মধ্যে ৩১৩ জন ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইন শেষে নিজ বাড়িতে ফিরে যান। ২৪ জন এখনও হিলির বিভিন্ন হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন।
ঈদের দিনে সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করলেও তারা নিজ দেশে ফিরেও রয়েছেন চার দেয়ালে বন্ধি। ঈদের দিন তাদের ভাগ্যে জোটেনি কোন উন্নত মানের খাবার। তারা ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক হুম কোয়ারেনটাইন শেষ হওয়ার প্রহর গুনছে।
তাদের আক্ষেপ সরকার জেলখানা, হাসপাতাল, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন স্থানে ঈদের দিন উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করলেও তাদের ভাগ্যে কোন উন্নত মানের খাবার জোটেনি। এমনকি কেউ ভুল করেও তাদের খোজ খবর নেয়নি। তারা ঈদের নামাজও জামায়াতের সাথে আদায় করতে পারেনি।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, তারা ভারত থেকে করোনা টেষ্ট এর নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে দেশে আসারপর আবার এন্টিজেন টেষ্ট করেছেন সেখানেও নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এরপরেও উপজেলা প্রশাসন তাদেরকে বাধ্যতামুলক নিজ খরচে আবাসিক হোটেলে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে।
ভারত থেকে শত শত ট্রাক চালক ও হেলপার বিনা টেষ্টে আসছে কিন্তু তাদেরকে কিছু বলা হচ্ছেনা। তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছেনা আমাদের বেলায় যতো কঠোর বিধি নিষেধ। আমরা কেমন আছি কেউ খোঁজ খবরও নিচ্ছেনা।
এবিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার নূরে আলম জানান, এ পর্যন্ত ৩৩৭ জন ভারত থেকে দেশে এসেছে, তাদের মধ্যে ৩১৩ জন ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষে নিজ বাড়িতে ফিরে গেছে। ২৪ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছে। আবাসিক হোটেলে খাবারের তালিকা দেওয়া আছে তারা অর্ডার করলে আমাদের লোক হোটেলে খাবার পৌঁছে দিবে।
তিনি বলেন, যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে থাকা ও খাওয়া নিজ খরচে করতে হবে। এদের খোজ খবর ও দেখভাল করার জন্য একটি টিম রয়েছে তবে সরকারীভাবে কোন বরাদ্দ তাদের জন্য নেই।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।