বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, পেঁয়াজের লাগামহীন দাম বাড়ার সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সরকার জড়িত। ফলে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিষয়ে কিছু করা যাচ্ছে না। তবে জনগণ ইচ্ছা করলে লাগাম টানতে পারেন। পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করতে হবে, তবেই সিন্ডিকেট ভাঙবে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল আয়োজিত ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’র আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর রায় বলেন, সরকার সচেতন থাকলে জনগণের ভোগ্যপণ্য নিয়ে কোনো ব্যবসায়ী খেলা করার সাহস পেত না। ব্যবসায়ীরা সবসময় লাভ খুঁজবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে দাম না বাড়ে। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে। কিন্তু অন্য দেশ থেকে দ্রুত সময়ে পেঁয়াজ আমদানি করা যেত, যেটা সরকার পারেনি। সরকার ব্যবসায়ীদের বড়লোক করতেই কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জনগণ ইচ্ছা করলে লাগাম টানতে পারেন। তাদের (জনগণ) পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করতে হবে, তবেই সিন্ডিকেট ভাঙবে।
বিএনপির এ নীতিনির্ধারক বলেন, নেতাকর্মীরা এখন রাজপথ ভুলে গেছে। তারা রাজপথে এলে খালেদা জিয়া এতদিন জেলে থাকতেন না। তবে সরকারের জন্য, খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা অনিবার্য ছিল। কেননা তাকে জেলে না রাখলে আওয়ামী লীগ ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ তারিখ রাতে দেয়ার সাহস পেত না। এক্ষেত্রে তারা নানা চক্রান্তের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেছে। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, কোনো পরিবর্তনই প্রস্তুতি নিয়ে হয় না। মুক্তিযুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে হয়নি, ৭ নভেম্বর প্রস্তুতি নিয়ে হয়নি। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে রাজপথে নামতে হবে। এজন্য আগে থেকে কোনো প্রস্তুতির দরকার হবে না।
জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বয়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।