
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০১৯, ১:২

বিদ্রোহী ১২৬ উপজেলা চেয়ারম্যানকে আগামী সেপ্টেম্বরে সাংগঠনিকভাবে বহিস্কার করছে আওয়ামী লীগ। এর ফলে দলীয় পদ-পদবি হারাবেন তারা। হারাবেন ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে আসার সুযোগ। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এরই মধ্যে বিদ্রোহী উপজেলা চেয়ারম্যানদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষ্ফ্ক্রিয় করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে বিদ্রোহী উপজেলা চেয়ারম্যানদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনা হয়। শোকের মাস আগস্টের পর সেপ্টেম্বরে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের শোকজ করা হবে। সেইসঙ্গে তাদের দলীয় পদ-পদবিও কেড়ে নেওয়া হবে। গতকালের বৈঠক থেকে উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের তালিকা তৈরির কাজ চূড়ান্ত করতে দলের চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আট সাংগঠনিক সম্পাদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা তালিকা তৈরির কাজ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছেন।
ঢাকা বিভাগ: বিদ্রোহী উপজেলা চেয়ারম্যানদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় পর্যায়ে দলের মূল নেতৃত্ব, অর্থাৎ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী অলিদ ইসলাম, দলের কালিহাতী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী বিকম, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি জগলুল হালদার ভুতু, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাদেক, ফরিদপুরের গোট্টি ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ মাতুব্বর (সালথা), গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল আলম প্রধান, কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার সভাপতি কামাল উদ্দিন সিকদার, ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি নাসির উদ্দিন জিলু ও ধামরাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোয়াদ্দেছ হোসেন।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব