সদ্যসমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে দলীয় পদে থেকে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে যারা নির্বাচন করেছেন, তাদের সবাইকে ‘সাসপেন্ডে’র সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তিন নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন ইস্যুটি উত্থাপন করলে পুরো বৈঠকজুড়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গির কবির নানক ও আব্দুর রহমান এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
সম্পাদকমন্ডলীর দুই নেতা শেখ হাসিনার উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের যারা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ইন্ধন ও মদদ দিয়েছেন তাদের সাসপেন্ড করা হবে। তবে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে তাদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এই সিদ্ধান্তে তার অনড় অবস্থান তুলে ধরে নেতারা আরো বলেন, নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া দলীয় নেতাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দলীয় শৃঙ্খলা না থাকলে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে পেছনে হাঁটতে হবে বলে শেখ হাসিনা বৈঠকে উল্লেখ করেন। মন্ত্রী-এমপি হলে তাদের ক্ষমা করা যায় কি না বৈঠকে এ প্রশ্ন উঠলে শেখ হাসিনা বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ থাকলে সে যত বড় নেতা হোক শাস্তির আওতায় আসতে হবে। এখানে কে মন্ত্রী, কে বড় নেতা, কে প্রভাবশালী, কে সংসদ সদস্য সেটা দেখার কোনো সুযোগ।
বৈঠকে উপস্থিত এক কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রী বলেন, শো-কজের উত্তর পাওয়ার পরে স্থায়ি বহিষ্কার করা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা। বৈঠকে ১৫ আগস্টের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া সাংগঠনকে শক্তিশালী করতে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে নির্দেশ দেন দলীয় সভাপতি। শেখ হাসিনা বলেন, সংগঠন থাকলে সব থাকবে। সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়লে পিছিয়ে যেতে হবে সবকিছু থেকে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।