আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা সরাতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকতেই সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া আবোল-তাবোল বকছেন। এই ইস্যুতে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার। দিলীপ বড়ুয়া এমন একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন যে দলে নিজ যোগ্যতায় একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হওয়ারও সামর্থ্য নেই। ১৪ দলে না আসলে তাকে কেউ চিনতও না। সোমবার ইস্কাটনের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আমির হোসেন আমু বলেন, দিলীপ বড়ুয়ার ব্যক্তিগত অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারণে তিনি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন। সেটা ভেবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে সেই ব্যর্থতার দায় তিনি আমার ওপর চাপাতে চেয়েছেন। নিমতলীর অগ্নিকান্ডের ঘটনার পরে একটি কেমিক্যাল পলিস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এ লক্ষ্যে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিসিকের চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে একটি ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ওই কমিটির সভাপতি হওয়ার কথা ছিল তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার।
তার অদক্ষতা ও অযোগ্যতা ও নির্লিপ্ততার কারণে তাকে সভাপতি করা হয়নি। এতেই তার ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়। নিজের ব্যর্থতা আড়াল করতে দিলীপ বড়ুয়া এধরনের কথাবার্তা বলছেন। সাবেক এই শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, আমি শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রকল্প অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছি। আমার সময় কেমিক্যাল পল্লি গঠনের লক্ষ্যে ৫০ একর জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন করানো হয়। তারপরই আমার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এক প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, পুরান ঢাকার কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা ছোট আকারের ব্যবসা করেন। তারা এখান থেকে সরতে চান না। তাছাড়া এসব প্রতিষ্ঠান শিল্প মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্তও নয়। এসব কারণে কেমিক্যাল কারখানা সরাতে সময় লাগছে। উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে দিলীপ বড়ুয়া বলেছিলেন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমুর কারণে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা সরানো যায়নি। এরই প্রেক্ষিতে আমির হোসেন আমু সোমবার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।