মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, কোনও মৃত্যুই কাম্য না। তবে ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে সেগুলোর তুলনায় এবার সহিংসতার হার কম। তাই দলীয় সরকারের অধীনেও অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। কাজী রিয়াজুল হক বলেন, যে মানুষগুলো সহিংসতায় মারা গেছেন, আমরা তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিবো। তারা এসব বিষয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাও জানবো। আমরা কমিশনের পক্ষ থেকেও তদন্ত করবো। নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে ভোটের ব্যবধান বেশি হওয়া প্রসঙ্গে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এর কারণ আমি বলতে পারবো না, তবে এতো ভোটের ব্যবধান কেন হলো, এটা নিয়ে একটা গবেষণা হতে পারে। এটা গবেষণা করে দেখা উচিত।
নির্বাচনের নানা বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে সারা দেশ থেকে মোট ৫২টি অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ অভিযোগ ভয়ভীতি প্রদর্শন, ভোট না দিতে বাধা প্রদান, এ রকম আসছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের সচিবকে বলা হয়েছে।’ ভোটকেন্দ্রে ঐক্যফ্রন্টের এজেন্ট দেখেছেন কিনা? জানতে চাইলে রিয়াজুল হক বলেন, আমি কয়েকটি কেন্দ্রে তাদের এজেন্ট দেখেছি, কিছু কেন্দ্রে দেখিনি। গুলশানের একটি কেন্দ্রে আমি তাদের এজেন্ট পাইনি। তবে বনানী ও বেইলি রোডে তাদের এজেন্ট ছিল। সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়গুলো কমিশনের নজরে আসছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়গুলো জানি। এভাবে হওয়ার কথা না। আমরা এসব বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখবো।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।